আজ ২৪ অক্টোবর বিশ্ব পোলিও দিবস। দিবসটি উপলেক্ষ এক সেমিনারের আয়োজন করে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল। রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ এর উদ্যোগে এবং রোটারি ক্লাব অব ধানমন্ডি সেন্ট্রালের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইলেক্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নমিনী টি এই এম নুরুল কবির, রোটারি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোলিওপ্লাস কমিটি চেয়ারম্যান পিডিজি ড. ইশতিয়াক আবিদুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট পোলিওপ্লাস কমিটি চেয়ারম্যান পিডিজি এ কে এম শামসুল হুদা, পিডিজি সেলিম রেজা, পিডিজি এম খাইরুল আলম এবং সেমিনার কমিটির চেয়ারম্যান ডা. মনোয়ার হোসাইনসহ রোটারির ঊর্ধ্বতন নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল পোলিও প্লাস কমিটি চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাক গভার্ন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ ড. মোহাম্মদ জামশিদ এবং ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট অংশগ্রহণ করেন
সেমিনারে রোটারি নেতারা পৃথিবী থেকে পোলিও নির্মূলে রোটারির ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল পোলিও নির্মূলকে তাদের অন্যতম প্রধান কর্মসূচী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্নান্য সহযোগী সংগঠনকে সাথে নিয়ে গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভের সূচনা হয়। এখন পর্যন্ত রোটারি ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার) অনুদান প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বের ১২২ টি দেশের অসংখ্য শিশুকে পোলিওর হাত থেকে রক্ষা করেছে।
বাংলাদেশে এখনো বিনামূল্যে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। বর্তমানে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান ছাড়া সমস্ত পৃথিবী পোলিও মুক্ত। কিন্তু পোলিওর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। পোলিওকে সমূলে নির্মূল করতে না পারলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এটি বিপজ্জনক রূপে আবার ফিরে আসতে পারে।