বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি |

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রকৌশলী। আহত মিজানুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। তার দাবি, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও আজিজের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। তখন তাদের থামাতে এগিয়ে যান তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শনিবার আইকিউএসি আয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে আজিজ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক ছাত্র তাকে বলেন, ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যার আপনাকে ডাকছে। ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যারের কথা শুনে আমি রুমের বাইরে বের হই। দরজার বাইরে আসলে ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যার একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর আজিজ আমাকে চড় থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে। এ সময় আমার প্রাণনাশের হুমকিও দেন।
 
মিজানুর রহমান আরও বলেন, রাজশাহীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার বিলের বিপরীতে সিকিউরিট বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। একাধিক দিন তিনি আমাকে সুপারিশ করেছেন। আমি বলেছি যথাযথ প্রক্রিয়া (কাগজপত্র) ছাড়া টাকা দিতে পারবো না। এজন্য তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অভিযোগ সঠিক নয়। মিজানুর ও আজিজের মধ্যকার কথা কাটাকাটি চলছিল। তাদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে মারপিট করিনি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেমের দুর্নীতির বিষয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিলাম। ওই রিপোর্টে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান অভিযুক্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065779685974121