রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। রাত ১২ টার দিকেও তার মরদেহ একটি বেসরকারী হাসপাতালে ছিল। শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার জন্য ভবনের পঞ্চম তলার এক ভাড়াটিয়ার ছেলেকে সন্দেহ করছেন তারা। তারা আশংকা করছেন, শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার পর (২০) ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার একটা অভিযোগ পেয়েছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। ভিকটিম গ্রিন লাইফ হাসপাতালে আছে। সেখানে সুরতহালের কাজ চলছে, তদন্তও চলছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সুরতহাল শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীর ফুফা জানান, আমার ভাগ্নি করোনার মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসে। এতদিন ধরে সে বাসায় অবস্থান করছিল। বিকেলে সে ছাদে যায়। সাড়ে ৪টার দিকে তাকে ফোন দিয়ে নিচে নামতে বলা হলে সে জানায় একটু পরে নামবে। সন্ধ্যায় জানতে পারি, বিল্ডিংয়ের পেছন থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাগ্নি যে বাসায় থাকে সেই বাসার পাঁচতলায় একটি পরিবারের ছেলে আছে। ছেলেটি আমার ভাগ্নিকে ডিস্টার্ব করত। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।
পারিবারিক সূত্রে বলা হয়, শিক্ষার্থী ছাদের যাওয়ার পর সেখানে আরও কয়েকজন ছিলেন। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তার আত্মীয়স্বজনরা ছাদে গেলে দেখা যায়, ছাদে প্রবেশের দরজাটি বাইরে থেকে বন্ধ। তবে পাঁচতলার সেই ছেলেটির সঙ্গে ঘটনার কোন সর্ম্পক আছে কিনা তাও নিশ্চিত নয়।