সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে তাদের নিজের খরচ নিজেদেরই জোগাড় করতে হয়। পড়াশোনার এই ব্যয় নির্বাহ করতে তারা গৃহশিক্ষকের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন রকম খণ্ডকালীন কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কিন্তু করোনাকালে দেশের অন্য সব স্তরের মানুষের মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের পথও দারুণভাবে ব্যাহত করেছে এবং অনেকেই এখন মানবেতর জীবন পার করছে। এই পরিস্থিতিতে সেবা ভোগ ছাড়াই মোটা অঙ্কের সেমিস্টার, হল ও পরিবহন ফি প্রদান তাদের জন্য দৃশ্যতই ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির দিকটি মাথায় রেখে এ বিষয়ে নজর দেবেন।
লেখক : মো. রাসেল মিয়া, শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া