বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ‘ঘ’ প্যানেলের প্রার্থী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী। আর মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ‘চ’ প্যানেলের প্রার্থী শওকত হোসেন মোল্যা।
এবারের নির্বাচিত নজিরবিহীনভাবে সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তবে পদ পাওয়া প্যানেলগুলো হচ্ছে-আজমতগীর-জাফর, শাহেদ-রেহেনা, নোমানী-শওকত এবং ‘ছ’ বা বিদ্যুৎ-নাসির প্যানেল।
প্যানেল হিসেবে সর্বাধিক ৫৯টি পদে জয়লাভ করে ‘খ’ প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এই প্যানেলটি আজমতগীর-জাফর প্যানেল। এই প্যানেল থেকেই ব্যক্তি প্রার্থী হিসাবে যুগ্ম-মহাসচিব (ঢাকা মহানগর-পুরুষ) প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম-পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার পাঁচশ ২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয় কুমার ঘোষ পেয়েছেন এক হাজার ৯৮৬ ভোট।
এছাড়া ‘ঘ’ প্যানেল ৩৪টি, ‘চ’ ২৪টি এবং ‘ছ’ ৬টি পদ পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্যানেল হিসাবে সবচেয়ে সাফল্য দেখিয়েছে ‘চ’ বা নোমানী-শওকত। এটি ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ স্লোগানে জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। মহাসচিব আর কোষাধ্যক্ষের মতো শীর্ষ দুটি পদ এই প্যানেলের ঝুলিতে।
মোট ১২৩ টি পদে সরকারি কলেজের সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষকের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয় এই নেতৃত্ব। ২০ মার্চ দেশের ২১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটানুষ্ঠান হয়। ভোট গণনা শেষে শনিবার প্রকাশ করা হয় এর ফল।
দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধান জানা যায়, ঢাকার বাইরের নড়াইলসহ ত্রিশটির মতো কলেজে অধ্যক্ষরা সভাপতি একজনের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করেছেন। নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মফস্বলে নানা কারণে থাকেন না সরকারি কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক। আর তাই তারা ‘ধরা’ থাকেন অধ্যক্ষের কাছে। অনৈতিক হলেও অধ্যক্ষরা বছরের পর বছর ধরে অনুপস্থিত শিক্ষকদের উপস্থিত দেখিয়ে আসছেন। বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর অবসর-আসন্ন অধ্যক্ষদের এসিআর লেখা কর্মকর্তাই এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় ‘উপরিমহলের’ নির্দেশে কাজ করেছেন।