বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আসন্ন নির্বাচনে একাধিক ও প্যানেল এবং স্বতস্ত্র প্রার্থীর নাম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। ২০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমিতির একাধিক সদস্য দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভাপতি পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক নেতা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত সমর্থিত প্যানেল খুলনা অঞ্চলের নির্বাচিত সহ-সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মো. তৌফিক আহম্মদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া আবুল বাসার ও আবেদ নোমানী নামের দুইজন কর্মকর্তার নামও শোনা যাচ্ছে। তবে, তারা কোন প্যানেল থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মহাসচিব পদে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সদস্য-সচিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ জাফর আলী এবং ইডেন কলেজের রেহানা খাতুন, শওকত হোসেন ও বিএনপি-জামাত প্যানেল থেকে মাসুদ রানার নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হিসেবে কর্মরত শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসানের নামও শোনা যায়। তানভীরের প্যানেলের নাম লাল-সবুজ। এ
এছাড়া গত বছর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নায়েমে বদলি হওয়া আমির আলীর নামও শোনা যায়। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তরের বারান্দায় ও ফুটপাতে অফিস সময়ে সিগারেট টানার ভিডিও সারাদেশের শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের কাছে সমালোচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ছিলেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য প্রগতিশীলদের একতা না থাকলে একচেটিয়া বিএনপি-জামাতপন্থী বিজয়ী হবেন।