শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮-এর পরীক্ষার্থী ২০১৯ সালে যারা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে এবং অন্যদিকে যারা স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি সমাপনি পাশ করে মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে, তাদের মধ্যে ফলাফলের ভিত্তিতে যারা সরকারি মেধা বৃত্তি লাভ করেছে, তারা এ পর্যন্ত বৃত্তির টাকা পায়নি। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ইত্তেফাক পত্রিকার এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যথারীতি অনলাইনে আবেদন করেছেন। কিন্তু তার পেমেন্ট স্টাটাস রিপোর্টে নট প্রসেসড উল্লেখ করা হয়েছে—বৃত্তির টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। জানা গেছে, স্কুল থেকে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের সংখ্যা হিসাবে সরকার মাউশিকে এবং মাদ্রাসা থেকে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের সংখ্যা হিসাবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা বোর্ডকে টাকা প্রদান করেছে। স্কুল থেকে যারা স্কুল বা কলেজে ভর্তি হয়েছে, মাদ্রাসা থেকে যারা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে তারা তাদের বৃত্তির টাকা পেয়েছে।
মাদ্রাসা থেকে যারা স্কুল বা কলেজে আবার স্কুল থেকে যারা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে তারা বৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত। কারণ মাদ্রাসার বৃত্তিপ্রাপ্তদের টাকা মাউশিকে এবং স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্তদের টাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বা বোর্ডকে দেওয়ার কথা নয়, উভয় কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করে নিলে সবাই বৃত্তির অর্থ পেত। বৃত্তির টাকা বড় বিষয় নয়—এটা একজন শিক্ষার্থীর মেধার স্বীকৃতি; এ স্বীকৃতি না পাওয়ায় তারা হতাশ। মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা বোর্ড পরস্পর সমন্বয় করে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অর্থপ্রাপ্তির ব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: মো. ইয়াছিন মজুমদার, শ্রীরামপুর, মনতলী বাজার,