তথ্য ভুলের কারণে রাজস্ব খাতে বৃত্তি পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীর টাকা বাউন্সড ব্যাক হয়েছে। ফলে এ শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা পায়নি। রাজস্ব খাতে বৃত্তি পেয়েও টাকা বাউন্সড ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনে ফের সুযোগ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী সোমবারের (১৫ নভেম্বর) মধ্যে এইচএসপি-এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যারে টাকা বাউন্সড ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ দিয়েছিলো শিক্ষা অধিদপ্তর। সে সময় ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্ত (পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে) এবং রাজস্ব খাতভুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপবৃত্তি ও পেশামূলক উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বাউন্সড ব্যাক হওয়া ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য সাধারণ তথ্যের ভুল সংশোধনের সময়সীমা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
জানা গেছে, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যে ভুল রয়েছে। কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, জেলা, পরীক্ষার সালসহ বিভিন্ন ধরণের ভুল রয়েছে। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসেব নম্বর, রাউটিং নম্বরসহ ব্যাংক সংক্রান্ত কিছু তথ্য যথাযথ না থাকায় ইএফটি বাউন্সড ব্যাক হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীর প্রাপ্য টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যারের লিংকে প্রবেশ করে ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য অন্যান্য সাধারণ তথ্যের ভুল সংশোধন করতে হবে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের।
এর আগে সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোন ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের বাবা-মার সাথে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসেব খোলা হলে এমআইএসে তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নামের স্থলে উভয়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে।
অনলাইন ব্যাংক হিসেব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে। বৃত্তির ক্যাটাগরি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
তথ্য সংশোধন করতে ক্লিক করুন : (http://hspbd.com/HSP-MIS/login)
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।