বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাজমুল হককে ‘অবরুদ্ধ করে জোর করে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার’ অভিযোগে আট শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার রাত ১টায় রংপুরের তাজহাট থানায় নাজমুল হক নিজেই মামলাটি দায়ের করেন বলে পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে অধ্যাপক ড. মতিউর রহমানকে, যিনি উপাচার্য বিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক।
এছাড়া শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, সরকার দলীয় শিক্ষকদের নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এটিজিএম গোলাম ফিরোজ এবং কলা অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলীর নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে ‘পদত্যাগের জন্য চাপ’ দেন।
সদ্য প্রকাশিত ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের প্রকাশিত ফল বাতিল এবং রসায়ন বিভাগের পুনর্গঠিত পরীক্ষা কমিটি বাতিল সংক্রান্ত একটি চিঠিতে তারা ‘জোর করে’ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সই নেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি মতিউর রহমান বলেন, “দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলন ঠেকিয়ে নিজেকে রক্ষায় উপাচার্য এই মামলা করিয়েছেন।”
তবে এ বিষয়ে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বক্তব্য জানতে পারেনি।