বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাবটি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি - দৈনিকশিক্ষা

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাবটি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি

অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ |

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে নায়েমে অনুষ্ঠিত এমপিও জটিলতা নিরসন সংশোধন সংক্রান্ত একটি রিভিউ মিটিংয়ে অংশ নিয়ে আমি বেশকিছু সংশোধন প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনীর জন্য গঠিত কমিটির সভা শুরুর আগে ধারাবাহিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ শুরু করে দৈনিক শিক্ষাডটকম। আমার কিছু  প্রস্তাব ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছিল দৈনিক শিক্ষাডটকম।

প্রস্তাবসমূহের একটি ছিল এমন: “পদোন্নতির ক্ষেত্রে : এমপিও ভুক্ত প্রভাষকগণ প্রভাষক পদে এমপিও ভুক্তির ৮ বছর পূর্তিতে ৫:২ অনুপাতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এতে মোট পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না’ –এইরূপ বিধান বিদ্যমান। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এই অনুপাত প্রথার কারণে অনেক অনেক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রভাষক পদোন্নতি পাচ্ছেন না। আবার অন্য প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র প্রভাষক পদোন্নতি পাচ্ছেন। তা-ও মাত্র সারা জীবনে একটি। এমতাবস্থায় এমন বিধান করা উচিত যে, কাম্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে প্রভাষকদের মধ্য থেকে ১:১ অনুপাতে সহকারী অধ্যাপক হবেন। অতপর সহকারী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কাম্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা ও বিভাগীয় পরীক্ষার ভিত্তিতে ১:১ অনুপাতে সহযোগী অধ্যাপক হবেন এবং একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হবেন। অপরদিকে স্কুল পর্যায়েও সিনিয়র শিক্ষক পদ থাকা উচিত।

উল্লিখিত প্রস্তাবটির আংশিক গৃহীত ও বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে বলে চলতি বছরের ১২ আগস্ট প্রকাশিত দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়: “বেসরকারি কলেজ ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে ‘কালো বিধান’ হিসেবে পরিচিত পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন থেকে পাঁচ অনুপাত দুইজন নয়, মোট প্রভাষকদের ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক সংখ্যককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অনুপাত প্রথা বাতিল করে এমপিও নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।”

এমতাবস্থায় বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আমার উল্লিখিত প্রস্তাবটির আংশিক বিবেচনায় নিয়ছেন বিধায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সম্পূর্ণ প্রস্তাবটি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবারও দাবি জানাচ্ছি।

লেখক : মো. রহমত উল্লাহ্, অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055248737335205