২০২১-২২ অর্থবছরে জাতীয় বাজেট প্রস্তাবে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোন অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। বাজেট বক্তৃতায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোন ঘোষণাও আসেনি। এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। একইসাথে এ স্কুলগুলো সরকারিকরণে বাজেট বরাদ্দ পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
রোববার (৬ জুন) এ দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, করোনা মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ,দেশি বিদেশি বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে সরকার নানামুখী কৌশলসহ ২০২১ - ২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১কোটি টাকা জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের বিষয়ে কোন অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। আগের অর্থবছরের চেয়ে এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশি থাকলেও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের ঘোষণা না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশ বিরাজ করছে।
শিক্ষকরা আরও বলেন, গত ৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের বাহিরে থাকা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের সুপারিশের পরিবর্তে নতুন করে প্রকল্প বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছেন। তবে, নতুন বিদ্যালয় নয় , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মধ্যে থাকা ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মের আগে স্থাপিত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবি জানান শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, সারাদেশে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় থাকলে ও সেইগুলাকে এখনো সরকারিকরণের আওতায় আনা হয়নি। এদের মধ্যে থেকে ৫০৬টি বিদ্যালয় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
শিক্ষকরা দাবি করেন, সারাদেশে এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় সরকারিকরণের জন্য সরকারের নির্ধারিত উপজেলা ও জেলা জাতীয়করণ যাচাই-বাছাই কমিটি বিদ্যালয়গুলো যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যা মন্ত্রণালয় সংরক্ষিত আছে। বিদ্যালয়গুলোর জমি সরকারের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া এবং জমি আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী লিটন, মিজান, শাহনাজ হাবিবা, নিগার সুলতানসহ অনেকে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।