বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও গুচ্ছ ভর্তিসহ ইউজিসির ২৪ সুপারিশ - দৈনিকশিক্ষা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও গুচ্ছ ভর্তিসহ ইউজিসির ২৪ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বতি বা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাওয়া গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মতো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েও এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি নীতিমালা তৈরিরও সুপারিশ করেছে কমিশন। এদিকে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার প্রাথমিক রূপরেখা নির্ধারণ করেছে। কমপক্ষে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের আওতায় আসছে এটা এখন নিশ্চিত। পরীক্ষার পদ্ধতি চূড়ান্ত করছে বাকি প্রতিষ্ঠানও। উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর থেকে সম্ভব না হলেও আগামী বছর থেকেই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বতি বা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার আওতায় আনতে চায় মঞ্জুরি কমিশন। শিক্ষার্থীদের ভর্তির ভোগান্তি কমাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারী খাতেও হোক একই পদ্ধতির প্রয়োগ-এমন চিন্তা থেকেই কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন কমিশন কর্মকর্তারা। এ লক্ষ্যে সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।

এমনকি একই পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশও করেছে কমিশন। এছাড়া বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন ২০১০ যুগোপযোগী করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে হস্তান্তর করেছে ইউজিসি। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হচ্ছে। [inside-ad]

২০১৯ সালে সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি, গবেষণা, সঙ্কট ও সম্ভাবনা নিয়ে ২৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে ৫৬৮ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে। যেখানে ৪৬ সরকারী ও ১০৫ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য স্থান পেয়েছে।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমুক। এ জন্য পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের মতো প্রাইভেটেও এটা হোক আমরা তা ভাবছি। এজন্য কাজও শুরু করেছি। তবে দেখি আগে আমরা নতুন শিক্ষাবর্ষেই পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাটা শেষ করতে চাই। এরপরই আমরা প্রাইভেটে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করব। আমাদের লক্ষ্য ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যাতে শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তিটা কমে যায়।

চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সংস্থার ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষার বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এরমধ্যে ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা করা। যেটি প্রতিবেদনে ইতোমধ্যে আমরা সুপারিশ করেছি। তার নানা সুপারিশগুলোর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।

সুপারিশগুলোর অন্যতম হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চৌর্যবৃত্তির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়ে কোন নীতিমালা না থাকায় গবেষণাপত্র চুরি হরহামেশাই ঘটছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী বিধি বিধান অমান্য করছে। এ কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা করতে হবে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক আইন দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায় না। তাই ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে পরিচালিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার জন্য সরকার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে।

এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কোথায় কীভাবে হবে-এ প্রশ্ন এখন সামনে চলে আসছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের ফল। ফল প্রকাশের পর শুরু হবে ভর্তির উদ্যোগ। করোনার মধ্যে কোথায় কিভাবে ভর্তি করা হবে তা নিয়ে উদ্বেগ যেমন আছে তেমনি সেই উদ্বেগ কাটানোর পথও খুঁজছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রতিষ্ঠান নিয়ে গুচ্ছ পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এতে সাড়া নেই চার স্বায়ত্তশাসিত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেগুলো হলোÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। তারা আগের মতোই ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। এরমধ্যে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত। আর ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের আলোকে। বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে শীঘ্রই।

এদিকে চার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দেয়া সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র ও নেতৃত্ব বুয়েটের হাতে থাকা নিয়ে আপত্তি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর।

এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুয়েট। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (চুয়েট) নিয়ে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল বুয়েট। তবে বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের শর্তে রাজি হচ্ছে না। রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট আলাদা গুচ্ছের বিষয়ে একমত।

অন্যদিকে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যেই ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

গুচ্ছের অধীনে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা হবে। এছাড়া পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্নে। তবে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিট থাকছে না। বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর নম্বরও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ ঠিক করে দেবে। এছাড়া দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও তাদের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেবে সেটি তারাই ঠিক করবে।

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০ নম্বর, রসায়নে ২০, জীববিজ্ঞান-গণিত এবং আইসিটি মিলে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। জীববিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিতের মধ্যে যে কোন দুইটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। আর বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। বাণিজ্য বিভাগের জন্য এ্যাকাউন্টিংয়ে ২৫ নম্বর, বিজনেস অর্গানাইজেসন ও ম্যানেজমেন্টে ২৫, আইসিটিতে ২৫, বাংলায় ১৩ এবং ইংরেজী বিষয়ে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। আর মানিবক বিভাগে বাংলায় ৪০, ইংরেজীতে ৩৫ এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া সাত। ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া সাড়ে ছয় এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া ছয়।

এদিকে গত বছরের মতো নতুন শিক্ষাবর্ষের সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন এ পদ্ধতির পরীক্ষায় যুক্ত হতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রাথমিকভাবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত ১৩টি শতবর্ষী কলেজ এবং আটটি প্রাক মডেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ সম্মতি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছে। প্রাথমিকভাবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১৩টি শতবর্ষী কলেজ এবং আটটি প্রাক মডেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশিষ্ট কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া পূর্বের মতো এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতেই সম্পন্ন হবে।

তবে ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজী এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে বিভাগ পরিবর্তন করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। ইতোমধ্যেই রাজধানীতে কয়েক দফা কর্মসূচী পালন করেছেন তারা। যেখানে রাজধানীর নামী কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরাই অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত ৪৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ সেখানে আমরা যারা বিভাগ পরিবর্তনের জন্য অনেক আগে থেকে বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞান পড়ে এসেছি তাদের বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটটি সেখানে রাখা হয়নি। আমরা মনে করি এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মানা হবে না।’

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034611225128174