আসছে শিক্ষাবর্ষে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এতদিন এটা ৪০ শতংশ ছিলো। আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ এবং লিল্লাহ বোডিংয়ের শিশুদের জন্য বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর লটারির মাধ্যমে দেশের সব বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আগের বছরগুলোতে ঢাকার বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনা ছিল।
বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির কোটা নির্ধারণে এসব নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি সব বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি স্কুলের কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনায় শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং সন্তান পাওয়া না গেলে নাতী-নাতনির মধ্য থেকে নূন্যতম যোগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য শূন্য আসনের ৫ শতাংশ কোটার বিপরিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে শূন্য আসনের ২ শতাংশ কোটার বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য শূন্য আসনের ২ শতাংশ কোটার বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।
শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে লিল্লাহ বোর্ডিয়ে অবস্থানরত শিশুদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ কোটার বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে, কোটার শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে নির্ধারিত শূন্য আসনের সাধারণ কোটা থেকে পূরণ করতে হবে।
বেসরকারি স্কুলগুলো ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম ও লটারি পরিচালনা করতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে ভর্তির সংশোধিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সামাজিত দুরত্ব মেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ভর্তির লটারি করতে বেসরকারি স্কুলগুলোকে বলেছে সরকার। আর লটারির মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, বেসরকরি স্কুলগুলোকে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে জানাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে লটারি পরিচালনা করতে হবে। লটারির স্বাচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকিও পরিবীক্ষণ কমিটি, স্কুলের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি লটারি কার্যক্রমে নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া করোনা ভাইরাস মহামারিতে জনসমাগম এড়াতে লটারির প্রক্রিয়া ফেসবুক লাইভ বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে সংশোধিত ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া যেন কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলোকে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেয়া বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনাটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।