কেশবপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া অভিযোগের শহীদ ফ্লাইট লে. মাসুদ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রভাষক স ম কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে শিক্ষকের ছেলে আবু তাসকিন ইবনে হাসানসহ আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বাউশলা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক স ম কামরুজ্জামান ও তার ছেলে আবু তাসকিন ইবনে হাসান (মাহি) জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের কেন্দ্র করে আলতাপোল উপজেলা অফিসপাড়া এলাকার আজিবর বিশ্বাসকে (৩৫) গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় কেশবপুর পশু হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তায় প্রাণনাশের হুমকি দেন ও জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। ওই সময় তুলে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও কলিজা বের করে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ ঘটনায় আজিবর বিশ্বাস জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৫ এপ্রিল কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী প্রভাষক স ম কামরুজ্জামান (৪৫), তার ছেলে আবু তাসকিন ইবনে হাসান মাহি (২০), ভরতভায়না গ্রামের হাফিজুর রহমান (৫০), বিদ্যানন্দকাটি আব্দুল গনি (৪২) ও শ্রীরামপুর আনিছুর রহমানকে (৩৫) গ্রেফতার করে কেশবপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শহীদ ফ্লাইট লে. মাসুদ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে গত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএম শাখার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করার সময় স.ম কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কৃষি ডিপ্লোমা শাখায় নিয়োগ দানের সহযোগিতা, এইচএসসি বিএম শাখার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাত ও কলেজের স্বার্থ পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে গর্ভনিং বডি চলতি বছরের গত ১৯ জুন তাকে কলেজ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এছাড়াও তার ছেলে আবু তাসকিন ইবনে হাসান মাহি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য বলে অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।