যশোরের মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তির আবেদনে একজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে ব্যাকডেটে অন্য একজন শিক্ষকের নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষক মাহাবুবুর জামান এ অভিযোগ করেন। আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিনা বেতনে তিনি মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদরাসায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফারুক হুসাইন তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য মাদরাসা বোর্ড, ম্যানেজিং কমিটি ম্যানেজ, নিয়োগ কমিটি গঠন ও মাদরাসার বিল্ডিং উন্নয়নের নাম করে ১৬ লাখ টাকা নেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির আলিম শাখা এমপিওভুক্ত হয়। চলতি বছরে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পেতে আবেদন করেন। ওই আবেদনে অধ্যক্ষ তাকে বাদ নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শারমিন আক্তার নামে একজনকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করান।
ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করে আরও বলেন, শারমিন আক্তার কখনো ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছিলেন না। হঠাৎ করেই তিনি এরিয়ারসহ বেতন-ভাতা পেয়ে শিক্ষক হয়ে গেলেন। অধ্যক্ষের কাছে এখন ১৬ লাখ টাকা ফেরত চাইলে অধ্যক্ষ তার সাথে নানা তালবাহানা শুরু করে দিয়েছেন।