ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তির নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নির্দেশিকা ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে নেওয়া গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হলেও এতে সন্তুষ্ট নন ইবির বিভাগীয় সভাপতিরা। তাদের মত উপেক্ষা করে গতানুগতিক নির্দেশিকা প্রকাশ
করায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সর্বজনীন করার লক্ষ্য নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সময় উপযোগী শর্ত আরোপ করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।গত ২২ নভেম্বর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ইবি কর্তৃপক্ষ। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- 'এ' ইউনিটের পরিসংখ্যান এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যথাক্রমে গণিত এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। এ ছাড়া বাকি ১৩টি বিভাগে কোনোটিতে গণিত, কোনোটিতে জীববিজ্ঞান আবার কোনো বিভাগে উভয় বিষয় ঐচ্ছিক বা আবশ্যিক থাকতে হবে। 'বি' ইউনিটের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শর্ত প্রযোজ্য নেই। ইংরেজিতে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় এই বিষয়ে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।
বাংলার ক্ষেত্রে এ বিষয়ে থাকতে হবে জিপিএ ৩.০০।
লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক লুতফর রহমান বলেন, আগে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ১২ পাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু এবার ইংরেজিতে জিপিএ ৩.০০ পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। এতে সামাজিক বিজ্ঞানের বিভাগগুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফার্মাসি বিভাগের সভাপতি অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, শর্ত দিয়েছিলাম জীববিজ্ঞানে ৮ পেতে হবে। কিন্তু এই পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে বিভাগ অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না।উপাচার্য বলেন, সবাই তো আরবি পারেন না। তাই এমন শর্ত আরোপ করা হয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সর্বজনীন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।