রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কিছুদিন আগেই নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, ভর্তি মৌসুমের শুরুতেই সরকারের নিয়োগ করা অধ্যক্ষ ‘অসুস্থ’ আছেন দাবি করে প্রতিষ্ঠানটিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। মাজেদা বেগম নামের কলেজ শাখার একজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। মাজেদা বেগম নিজেই সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগকে ভর্তি বাণিজ্য পরিচালনায় কমিটির কারসাজি বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
গত ২৯ ডিসেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে প্রেষণে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর ভর্তি বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে ওএসডি হন সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাাডার কর্মকর্তা ফওজিয়া। তবে, প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কামরুন নাহার অসুস্থ তাই যোগদান করতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে মাজেদা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যদিও ভর্তি মৌসুমে এ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নতুলেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, ইচ্ছেমত ভর্তি বাণিজ্য চালাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে সিনিয়রিটি লঙ্ঘণ করা হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সুজন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নতুন অধ্যক্ষ অসুস্থ বলে শোনা যাচ্ছে, কেউ কেউ বলেছেন তিনি বাসায় থেকে অসুস্থতার অভিনয় করছেন। তবে ভর্তি মৌসুমের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের পরেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ ভর্তি বাণিজ্য পরিচালনার অপচেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে। কারণ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে। সিনিয়রিটির নিয়ম ভেঙে জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে ৬ নম্বরে থাকা শিক্ষক মাজেদা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, গভর্নিং বডি নিজেদের মনমত ভর্তি বাণিজ্য করতে এ নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কমিটি মন মত ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে।
জানতে চাইলে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রিন্সিপাল আপা অসুস্থ থাকায় আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আপা সিক লিভে আছেন। এ সময়ে দাপ্তরিক কাজ কর্ম চালিয়ে নেয়ার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ করা অধ্যক্ষ কামরুন্নাহারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।