আন্দোলনের মুখে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. একেএম এমদাদুল হক। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-২ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সরকারি হাজী এ বি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ বিকালে তাত্ক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।
জানা যায়, অধ্যক্ষ ড. একেএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ভর্তিবাণিজ্য, শিক্ষক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা গত ১ ফেব্রুয়ারি নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে একই দাবিতে তারা কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। এর আগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে তার বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এদিকে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম, শিক্ষক হয়রানি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির ২০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষকদের অভিযোগসহ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার গত ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ ড. একেএম এমদাদুল হকের তাত্ক্ষণিক বদলির আদেশের ফলে তাদের আন্দোলনে সফলতা এসেছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বদলির বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. একেএম এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি পাঁচ বছরের অধিক সময় এখানে দায়িত্ব পালন করেছি। সরকারি এ নির্দেশনা আমি মানব।