প্রতি বছরের মতো এবারেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন অনলাইনেই করতে হবে। সব কলেজ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। যদিও ভর্তি বিষয়ে প্রতি বছরই বড় কলেজ গুলোর বৈধ-অবৈধ প্রভাব ও কৌশলের সাথে ছোট কলেজগুলো টিকতে পারে না।
দেখা যায় প্রতি বছরই বড় কলেজগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের চেয়ে আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। যদিও প্রতিটা কলেজে মানবিক শাখার জন্য ১৫০ টি সিট, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ১৫০ ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ১৫০ টি করে তিন শাখার জন্য মোট ৪৫০ টি সিট রয়েছে। দেখা গেছে মানবিক শাখার ১৫০ টি সিটের বিপরাধে ৫০০-৭০০ আবেদন পড়েছে, তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেন।
এর ফলে ছোট কলেজগুলো শিক্ষার্থী সংকটে পতিত হয়, ননএমপিও হলেতো আরো জটিল সমস্যা অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ফলে বাংলা,ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের ক্লাশ কার্যক্রমে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয় কেননা ৪৫০ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থীর ৬০ শতাংশও ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও তা বিশাল উপস্থিতি। এতোগুলো শিক্ষার্থীর একসাথে বাংলা,ইংরেজি ও আইসিটি বিষয় ক্লাস নিলে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীদের ভাল কিছু শিক্ষা দিতে পারেন না তেমনি শিক্ষার্থীরাও ভাল কিছু গ্রহন করতে পারে না। যার ফলে পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই তিন বিষয়ের কোনও না কোনও বিষয়ে হয়ে থাকে।
অন্যদিকে পাশের ছোট কলেজটি শিক্ষার্থী সংকটে পরে এমপিও বন্ধ হওয়ার সংকটে পরে আর ননএমপিওরা এমপিও থেকে বঞ্চিত থাকে। তাই ভাল শিক্ষার জন্য বড় বড় কলেজগুলোকে নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট বেধে দিয়ে ভর্তির অনুমতি দেয়া উচিৎ এবং সেই সাথে অতিরিক্ত ভর্তির অনুমতি না দেয়ার পক্ষে মতামত প্রকাশ করছি। বিষয়টি অতিব জরুরি মনে করে যথাযথ কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: প্রভাষক,শাহ আলম সরদার, অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত, গোলাম মোস্তফা খান মহিলা কলেজ, নলছিটি,ঝালকাঠী ।