রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই থাকার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক এম তারেক নুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি জিমনেসিয়াম আছে সেখানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শহরের হোটেলগুলো যেন শিক্ষার্থীদের কাছে কম মূ্ল্যে সিট ভাড়া দেয় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া শহরের টেনিস কমপ্লেক্সসহ কিছু পাবলিক প্রোপার্টিতে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়টিও চিন্তা করা হচ্ছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত হল খুলে দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
ছাত্র ফেডারেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন জানান, হল বন্ধ থাকার বিষয়টি শুধু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নয়, বিভিন্ন বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে রাজশাহী এসেছে তাদেরও গভীর অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে। আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একটা বিশাল অংশকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো। কিন্তু হল না খোলার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেয়া হলো বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর মেস-কিংবা হোটেল গুলো কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকের থাকার ব্যবস্থা করতে সক্ষম নয়। এর সুরাহা করতে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল খুলে দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী লুৎফন নাহার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এইবারের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগতে হবে ভর্তিচ্ছু মেয়েদের। কারণ হল বন্ধ থাকায় সব ছাত্র-ছাত্রীরা মেসে উঠছে আর মেসগুলোতে অভিভাবক এবং অতিথিদের থাকার অনুমতি খুব কম দেওয়া হয়। তাই এবারের ভর্তিচ্ছুদের জন্য রাবিতে পরীক্ষা দিতে খুবই সমস্যা পোহাতে হবে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নিলীমা লিমা বলেন, ‘হল খোলা থাকলে আমি নিজেই প্রতিবছর প্রায় ১০-১২ জন মেয়েকে রাখার ব্যবস্থা করি যারা অনেকেই আমার পরিচিত বা বন্ধুদের পরিচিত এমন। কিন্তু এ বছর হল বন্ধ থাকায় আমি নিজেই মেসে থাকার জায়গা পাচ্ছি না, আর তাদের রাখবো কোথায়। এছাড়া এখন আমার নিজের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পড়াশোনায় জন্য হলের পরিবেশটাই ভালো। এদিকে মেসেও সিট পাওয়া যাচ্ছেনা।’
হল খোলার দাবিতে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় হল খোলার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।