নীলফামারীর জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাইভার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের খবর দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাইবা পরীক্ষার জন্য দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা নেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিকরুল হকে শোকজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুব হাসান। মঙ্গলবার অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়।
এর আগে গত রোববার ‘সরকারিকৃত কলেজে ভাইভা দিতে লাগে দেড় হাজার টাকা!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সরকারিকৃত জলঢাকা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে। যদিও ভাইভা পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়ার কোনো বৈধতা নেই।
এ অভিযোগেরর বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে মঙ্গলবার জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পাঠানো হয়। আগমী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যার জবাব চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিকরুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আপনার জানার প্রয়োজন কি, ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।’
জানতে চাইলে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির জবাব দেয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সরকারিকৃত জলঢাকা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ভাইভা পরীক্ষায় কয়েকটি বিভাগে মোট ২৫০ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে। যদিও ভাইভা পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়ার কোনো বৈধতা নেই।