ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু - দৈনিকশিক্ষা

ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু

মো. হেলাল উদ্দিন |

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর পৃথিবীর উপনিবেশিক শক্তিগুলো সংকটে পড়লে পৃথিবীতে নতুন নতুন জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। এ সকল জাতিরাষ্ট্রের ভিত্তি ছিলো জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদের উপাদানগুলো হলো ভাষা, ধর্ম, গায়ের রং, ভৌগোলিক ঐক্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের মহান ভাষা আন্দোলন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে একত্রিত করেছিলো যা বাঙালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তি রচনা করে। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ অবদান রয়েছে। আজীবন বাংলা ভাষাপ্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ও বাংলা ভাষার উন্নয়নে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। অদ্যাবধি ভাষা-আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বইপত্র প্রকাশিত হলে ও অনেক তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। এসব দিক বিবেচনা করে আলোচ্য প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আলোচনা করা হলো।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর প্রথম বিতর্ক শুরু হয় ভাষা নিয়ে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) শুরু হয় প্রবল গণঅসন্তোষ। শুরু হয় ভাষা ভিত্তিক এক ব্যাপক গণআন্দোলন। এই আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মোলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক বলেন, ‘সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন সে দিনের ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ‘ভাষা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করে তিনি বললেন’ পূর্ব পাকিস্তান কর্মী সম্মেলন প্রস্তাব করিতেছে যে বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের লেখার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করা হউক। সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হইবে তা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার জন সাধারণের ওপর ছাড়িয়া দেয়া হউক। এবং জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গৃহীত হউক’। এভাবেই ভাষার দাবি প্রথমে উচ্চারিত হয়েছিলো। 

ভাষা আন্দোলনের শুরুতে ‘তমদ্দুন মজলিসের’ রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনী কার অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান এই মজলিসকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বহুকাজ সাহায্য ও সমর্থন করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে রাজনীতিবিদসহ ১৪ জন ভাষা বিজ্ঞানী ২১ দফা দাবি সংবলিত ভাষা আন্দোলনসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে একটি ইশতেহার প্রণয়ন করেছিলেন। এই দাবিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দাবিটি ছিলো রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কিত। এই ঐতিহাসিক ইশতেহারটি একটি ছোট পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিলো যা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য দলিল। এই ইশতেহার প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিলো অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষর দাতা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির তিন-চার মাসের মধ্যেই পুস্তিকাটির প্রকাশনা ও প্রচার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীদের জন্য পাকিস্তান নামের স্বপ্ন সম্পৃক্ত মোহভঙ্গের সূচনার প্রমাণ বহন করে। পুস্তিকাটি যাদের নামে প্রচারিত হয়েছিলো তারা সবাই অতীতে ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত নিবেদিত প্রাণকর্মী।

উল্লেখ্য, এদেরই একজন ছিলেন ফরিদপুরের (বর্তমানে গোপালগঞ্জ) শেখ মুজিবুর রহমান; পরবর্তীকালে যিনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে বাংলদেশ সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ পুনর্গঠিত হয়। ১১ মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ওইদিন সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ এ কর্মসূচি পালনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। পিকেটিং করা অবস্থায় শেখ মুজিব, শামসুল হক, অলি আহাদসহ ৬৯ জনকে গ্রেফতার করলে ঢাকায় ১৩-১৫ মার্চ ধর্মঘাট পালিত হয়।

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট ও সফল হরতাল পালিত হয়। এই হরতালে শেখ সাহেব নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেফতার হন। ভাষা সৈনিক অলি আহাদ তার ‘জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার নিমিত্তে শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ হতে ১০ মার্চ ঢাকায় আসেন। ১১ মার্চের হরতাল কর্মসূচিতে যুবক শেখ মুজিব এতোটাই উৎসাহিত হয়েছিলেন যে, হরতাল কর্মসূচি তার জীবনের গতিধারা নতুনভাবে প্রবাহিত করে।

১১ মার্চের গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের এক টানিং পয়েন্ট। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ঐতিহাসিক ১১ মার্চের গুরুত্ব এবং গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি নয়, মূলত শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সস্পাদক শামসুল হক ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ একটি বিবৃত্তি প্রদান করেন। এই বিবৃত্তিতে তিনি বলেন যে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বাংলাকে পাকিস্তানের একটি অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু করে। এটা পরিচালিত হয়েছিলো Central State Language Committee of Action কর্তৃক। আমি নিজেই এটার সদস্য ছিলাম। আমি স্মরণ করতে পারি যে, শেখ মুজিবুর রহমান, নইমুদ্দীন আহমদ, কামরুদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট অলি আহাদ, মোহম্মদ তোয়াহা, প্রফেসর আবুল কাসেম প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ এই কমিটির সদস্য ছিলেন। আমাদের অফিস ছিলো ফজলুল হক মুসলিম হল। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন চলাকালে শেখ মুজিবুর রহমান জেলে বন্দি ছিলেন। জেলে অন্তরীণ থেকে ও তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজবন্দি হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে মোহাম্মদ তোয়াহা ও অলি আহাদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বঙ্গবন্ধুর এ সময় খালেক নেওয়াজ, গোলাম মাহবুব আর ও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে খবর দিতে বলেন। বারান্দায় বসে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদগঠন করতে।’

আবার ষড়যন্ত্র চলছে বাংলা ভাষার দাবিকে নস্যাৎ করার। এখন প্রতিবাদ না করলে কেন্দীয় আইন সভায় বাংলার পরিবর্তে উর্দুর পক্ষে প্রস্তাব পাস করে দেবে। তিনি ও সহবন্দি ছাত্রনেতা মহীউদ্দীন আহমেদ আমরণ অনশন শুরু করেন যা ভাষা আন্দোলনকে প্রবাহিত করে। প্রায় ২৭ মাস পর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন। 

২৪ ফেব্রুয়ারি পর ভাষা আন্দোলন ঢাকায় স্তিমিত হয়ে পড়লে ও জেলায়, মহকুমায় ও গ্রামঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ে, এ সংকট কালে ভাষা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ মুজিবের উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পূণগর্ঠন করা হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে ভাষা আন্দোলনকারী ৫০০ ভাষা সৈনিকের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু বাংলা ভাষার উন্নয়নে এবং সর্ব স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য কাজ করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন যা বাংলা ভাষাকে আন্তজার্তিক অঙ্গনে পরিচিতি আরো ও বাড়িয়ে দেয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা একাডেমিতে একটি সভায় বলেন। ‘ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমি ঘোষণা করছি। আমার দল ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই সকল সরকারি অফিস আদালতে ও জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলা চালু হবে।’

১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের জন্ম হয় ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। আর এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। এই মহান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিলো অপরিসীম। শুধু তাই নয় এই মহান নেতার চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর মানচিত্র একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি।

 লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
 

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBEকরতে ক্লিক করুন।

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003291130065918