রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুরনিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার একটি প্রশ্নে বেশ কয়েকটি বানান ও ভাষাগত ভুল করা হয়েছে। প্রশ্নের প্রথম পাতাতেই দশটির বেশি বানান ভুল করা হয়েছে। প্রশ্নটি নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নটি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন অভিভাবকরা।
একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার অর্ধবার্ষিকীর বাংলা প্রথম পরীক্ষার পত্র পরীক্ষার প্রশ্নে এসব ভুল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। প্রশ্নে একটি কপি দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতেও এসেছে।
প্রশ্ন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে ঘণ্টা বানান লেখা হয়েছে ‘ঘন্টা’। ‘প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করছে’ এ বাক্যটি লেখা হয়েছে ‘প্রাইমারি স্কুলের চাকরি করছেন’। যথাসময়কে লেখা হয়েছে ‘যথার্থ সময়’। ভেঙে বানান লেখা হয়েছে ‘ভেঙ্গে’। দাবি বানান লেখা হয়েছে ‘দাবী’। নিরূপণ বানান লেখা হয়েছে ‘নিরুপন’। বিশ্লেষণপূর্বককে লেখা হয়েছে ‘বিশ্লেষণ পূর্বক’।
প্রশ্নে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান’ কবিতার একটি পঙ্কতি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কবিগুরু যে পঙ্কতি লিখেছিলেন, নিজের ‘পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়। সে পঙ্কতিটি প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নিজের পরে করিতে ভয় না রেখো সংয়শয়’। এখানে সংশয় বানানটি লেখা হয়েছে ‘সংয়শয়’। জ্ঞানতাপস বানান লেখা হয়েছে, ‘জ্ঞানতাস’। মাত্রা বানান লেখা হয়েছে ‘মাত্র’।
এ প্রশ্নটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিভাবকরা নানা আলোচনা-সমালোচনা করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আবদুল মজিদ সুজন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, একটি প্রশ্নে এমন একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এতগুলো ভুল করেছে, তা মেনে নেয়া যায় না। আমাদের অভিভাবকরা স্কুলের ওপর সবাই মনোক্ষুণ্ন। প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রশ্নে আগের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। এসব দেখলেই বোঝা যায় প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে চলছে। তিনি এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে এসব বিষয়ে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিতে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সঙ্গে। কিন্তু তার অফিসায়ল ফোন নম্বরে বারবার চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই, তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।