বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। রবিবার দুপুর ১টায় শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে ক্যাম্পাসে আসেননি উপাচার্য।
ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অনুপস্থিতি, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও ডিন নিয়োগে নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে কি না, নিয়োগ কমিটি এবং নিয়োগসংক্রান্ত কোনো অনিয়ম আছে কি না এবং অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্বজিৎ চন্দ।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা সাত শিক্ষক ও কয়েকজন কর্মকর্তার বিভিন্ন সময়ে দেওয়া ১১১টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছি। উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার বিষয়টি প্রধান অভিযোগ। এ ছাড়া বিভিন্নজনের দায়িত্ব উপাচার্য একাই পালন করেন, ইচ্ছামতো নিয়োগ দেন, এ রকম অনেক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য এবং দালিলিক প্রমাণ দিয়ে এসে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা দালিলিক প্রমাণ দিয়েছি। এ ছাড়া উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। সে কারণে আমরা আশা করি তাঁকে অপসারণ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।