শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন সাবেক শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তার পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এন আই খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করেছে। শুরুতেই সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। যেহেতু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে, সেহেতু এটিকে জিইয়ে রেখে তৃতীয় পক্ষকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেয়া ঠিক হবেনা।
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ গত বুধবার উপাচার্যের বাসার সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন ২৪ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, রোববার রাতে উপাচার্য তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেছেন, এরপর আর বের হননি।
এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ’ ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এরপর দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে। তারা সে রাত থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।