ভুল পদে সুপারিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানের শাস্তি : ডিজি - দৈনিকশিক্ষা

ভুল পদে সুপারিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানের শাস্তি : ডিজি

সাবিহা সুমি, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

শূন্যপদের ভুল তথ্য বা চাহিদা দেয়ায় কারণে এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়েও শিক্ষক পদে যোগদান করতে না পেরে অমানবিক যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এবার ভুল চাহিদা দিলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এমনটাই জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। প্রায় ৯৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল রোববার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই দৈনিক আমাদের বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘পদ শূন্য না থাকলেও শূন্য দেখিয়ে চাহিদা দিলে এমপিও বাতিলসহ কঠোর শাস্তি পেতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।’

‘ইতোমধ্যে আঞ্চলিক উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেনো প্রতিষ্ঠান প্র্রধানদের ডেকে হুঁশিয়ার করে দেন, ‘যোগ করে মহাপরিচালক। 

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব এনটিআরসিএর। কিন্তু নিযুক্ত শিক্ষদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) দেয়ার দায়িত্ব অধিদপ্তরগুলোর। 

এদিকে চতুর্থ নিয়োগচক্রে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও ভুল চাহিদার কারণে নিয়োগবঞ্চিতরা অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে চলছেন। গত সপ্তাহে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 


ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষক দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে এনটিআরসিএ গঠিত হওয়ার পর থেকে সাফল্যের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ঘুষবিহীন মেধাবী- দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করে আসছে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে গত ২০ অক্টোবর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩২ হাজার ৪৮০ জনের মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু আমরা কয়েক শতাধিক শিক্ষক চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলে প্যাটার্ন জটিলতা পড়েছি। অনেককে যোগদান করানো হয়নি। আবার অনেককে যোগদান করালেও এমপিও থেকে বঞ্চিত।

তারা বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি ভুল না করতেন তাহলে আমাদের মেধা অনুযায়ী কোনো একটা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হতাম। চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েও প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলের কারণে আমরা আজ পরিবার, সমাজের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অপমানিত ও লজ্জিত হচ্ছি। পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038340091705322