স্বঘোষিত শিক্ষক নেতা বাশার হাওলাদার নিজেকে পরিচয় দেন অধ্যক্ষ হিসেবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ভবনসহ কোনো সরকারি কাগজেই তার পদবি অধ্যক্ষ লেখা নেই। তিনি ছিলেন ভারাপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং এমপিওভুক্ত। এছাড়া বয়স ৬০ বছর হলে অধস্তনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করার বিধান রয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য। নীতিবান ও ভালো শিক্ষকরা সেটাই করেন। কিন্তু বাশার হাওলাদার দুর্নীতির মাধ্যমে আরো কয়েকবছর আকঁড়ে থাকতে চেয়েছিলেন চাকরিতে। ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও কয়েকমাস টিকে ছিলেন শিক্ষক নেতার পদবি ও যোগাযোগের দোহাই দিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আবুল বাশার হাওলাদারকে রাজধানীর লালবাগের রহমতুল্লাহ মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব হস্তান্তরের কড়া নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে বয়স ৬০ হবার পরেও প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল ছিলেন তিনি। তাই, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে তাকে স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণ এমপিও শীট। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে তিনি দায়িত্বভার হস্তান্তর না করায় প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ শিক্ষক বাশারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা অধিদপ্তর ও দৈনিক শিক্ষার কাছে। কিছু ভিডিও ক্লিপও দিয়েছিল দৈনিক শিক্ষাকে।সেগুলো দৈনিক শিক্ষার হাতে রয়েছে। বাশারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছিলো শিক্ষা অধিদপ্তর। তাকে দায়িত্বভার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে হস্তান্তর করার লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুলাই দেয়া আদেশের কপি দেখুন:
২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে জারি করা এক পরিপত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, বয়স ষাট বছর পূর্ণ হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও দেয়া হবে না। এছাড়া বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে ছাড়তে হবে দায়িত্ব। ষাটোর্ধ শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো অবস্থাতেই পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। বিধান না মানলে পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছর বোর্ডগুলো এ নির্দেশনা জারি করেছিল।
এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক নেতা আবুল বাশার হাওলাদারকে দায়িত্বভার হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অব্যাহতি দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছিল তাকে।