নীলফামারী ডোমার উপজেলার বামুনিয়া বালিকা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তিকে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গ্রন্থাগারিক সার্টিফিকেট না থাকলেও তাকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে ভুয়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরে তাকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়।
তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি বামুনিয়া বালিকা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে তাকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম। সে বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদানের তিন মাস পর ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল মনছুর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও বিদ্যালয়ে আসতে তাকে নিষেধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রেজাউল করিমের কাছে থেকে ৬ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। তৎকালিন সভাপতির সাথে আমার বিরোধ থাকায় নিয়োগে সমস্যা হয়েছিলো। রেজাউল করিমকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো সে সময় তার গ্রন্থাগারিক সার্টিফিকেট ছিল না।
৬ লাখ টাকা কেন নেওয়া হয়েছিলো জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, সে সময় আমাদের বিদ্যালয়ের একটি দেয়াল ভেঙে যায়। ওই টাকা থেকে ১ লাখ টাকা দিয়ে দেয়ালটির কাজ করা হয়েছে। সাবেক সভাপতি মরহুম আবুল মনছুর নিয়োগে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ে একটি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিলো সেখানে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ম্যানেজিং কমিটির পাঁচজন সদস্য নিয়ে ছিল ১ লাখ টাকা। কিছু টাকা দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়েছিল। সেখান থেকে আমিও কিছু টাকা নিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেনি। আমি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থগারিক পদের নিয়োগ সম্পর্কে জানি না।
তবে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।