নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসী সংশ্নিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্তের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. গাজী গোলাম মাওলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাউতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পাঁচজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এই ভুয়া এমপিওভুক্তির বিরুদ্ধে ও এমপিও বাতিলের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল আমিনের ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম শিমুল স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের কাছে জুন মাসে লিখিত অভিযোগ করেন। সংসদ সদস্য ওই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবর একটি ডিও লেটার পাঠান। পরে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাউশির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. গাজী গোলাম মাওলাকে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে কাগজপত্রের কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। তবে বিদ্যালয়টি নিয়ে অভিযোগকারীরা ষড়যন্ত্র করছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিব উল্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার আগের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের সময় এ নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে।
জেলা মাউশি কর্মকর্তা সরিৎ কুমার চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নতুন এমপিওভুক্ত পাঁচ শিক্ষকের নিয়োগ বৈধ ছিল না। তদন্ত কর্মকর্তা মাউশির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. গাজী গোলাম মাওলা জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী যান। কিছু ত্রুটি প্রাথমিকভাবে ধরা পড়েছে।