নওগাঁর আত্রাই উপজেলার চক শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোজাহারুল ইসলাম জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করছেন। জাল সনদেই হয়েছেন এমপিওভুক্ত। তারপর সরকারি কোষাগার থেকে এমপিও বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাই করে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সম্প্রতি এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সনদ যাচাই প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে জাল সনদধারী শিক্ষক মো. মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলা করতে বলা হয়।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, মো. মোজাহারুল ইসলাম চক শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে নিয়োগ পান। তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিওভুক্ত। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে এমপিও বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গত ১০ নভেম্বর ওই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এনটিআরসিএর সনদ যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়, মোজাহারুল ইসলামের জমা দেয়া ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের চতুর্থ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়া। তিনি যে সনদটি জমা দিয়েছেন (রোল : ১০১১০৭২৭, রেজিস্ট্রেশন : ৮০০০৫২৬২) তার প্রকৃত মালিক মো. আশাফুজ্জামান নামে নওগাঁ জেলারই ওপর এক প্রার্থী। তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জাল ও ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর এনটিআরসিএকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোজাহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রাণবল্লভ মণ্ডল দৈনিক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এনটিআরসিএ থেকে এখনো কোন পত্র আমি হাতে পাইনি। পত্র পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।