গোপালগঞ্জে একটি মামলায় ভুয়া ভিকটিম সেজে সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা পড়ায় শহিদুল শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তিসহ বাদি ও আসামি পক্ষের ১১ জনকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে আদালত। এসময় ওই মামলার বাদি মো. তারা মিয়া এজলাস থেকে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ভুয়া সাক্ষী শহীদুল শেখ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামের সফিউদ্দিন শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় সিজেএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জামিল আহমেদ বাদি হয়ে ভুয়া সাক্ষীসহ বাদি ও আসামি পক্ষের ১২ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মুকসুদপুর উপজেলা ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামে জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাইফুল শেখকে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে ভিকটিমের চাচা মো. তারা শেখ বাদি হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল। মামলার মূল সাক্ষী সাইফুল শেখ অনুপস্থিত থাকায় বাদি ও আসামি পক্ষের যোগসাজসে তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিতে কাঠগড়ায় ওঠেন।
সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য জবানবন্দি নেয়ার সময় আদালতে বিচারক সাক্ষীর নাম জিজ্ঞাসা করলে সে প্রথমে তার নাম শহিদুল শেখ বলেন। আবার তার নাম সাইফুল শেখ বলে জানান। এতে আদালতের সন্দেহ হলে সাক্ষীর আইডি কার্ড দাখিলের নির্দেশ দেন। সাক্ষী জানায় তিনি সাইফুল শেখ না। প্রকৃত পক্ষে তিনি হলেন শহীদুল শেখ। মামলায় এজাহারকাকারী মো. তারা শেখ তার ভাইয়ের ছেলে শহীদুল শেখকে সাক্ষী সাইফুল শেখ উল্লেখ করে আদালতে উপস্থাপন করেছেন বলে অতিরিক্ত পিপি এম এ হাইও আদালতকে জানান। আদালতের বিচারক ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাহাদাত হোসেন ভুইয়া ভুয়া সাক্ষী, বাদি ও আসামিসহ ১২ জনকে জেল হাজতে পাঠাতে এবং ওই ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি পৃথক মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।