মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ফের অস্থিরতা, পর্ষদ বাতিল দাবি - দৈনিকশিক্ষা

মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ফের অস্থিরতা, পর্ষদ বাতিল দাবি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

শিক্ষক বদলি, ফেসবুকে কারসাজি করে ছবি শেয়ারিং, জিডি ও থানা পুলিশ করায় ফের অস্থিরতা বিরাজ করছে রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে। এতে উৎকন্ঠায় থাকতে হচ্ছে এমপিও  ও ননএমপিও শিক্ষকদের আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রেণিকক্ষের পড়াশোনা। তবে, পরিচালনা পর্ষদের একাংশের বাড়াবাড়ির নেপথ্যে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষা ক্যাডার ও স্থায়ী কর্মকর্তাদের একাংশের যোগসাজস থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসনের তদারকির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের এসএসসি পরীক্ষার সময়ে নকল সরবাহ ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যক্ষ মুন্সী শরীফুজ্জামানের লাঞ্ছিত করায়  পরিচালনা পর্ষদের দুইজন সাসপেন্ড রয়েছেন। তাদের পরিবর্তে যে দুজনকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে দেয়া  হয়েছে তাদেরকে সভায় ডাকা হয় না। 

তিনি আরো বলেন, একজন বহিরাগত ব্যক্তি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জড়িয়ে ফেসবুকে কি যেন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে শুনেছি। সেটা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্ষদের সভা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বহিরাগতের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হবে । কিন্তু তা না হয়ে দেখা যাচ্ছে একটি সাধারণ ডায়েরিকে কেন্দ্র করে কয়েকজন শিক্ষককে হেনস্তা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য জানান, দায়িত্ব নিয়েই নতুন অধ্যক্ষ বদলি শুরু করেছেন। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন কিছুই তার জানা নেই। 

একজন অভিভাবক সদস্য বলেন, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার দাবি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।  

জানতে চাইলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন ভুইয়া বলেন, নতুন অধ্যক্ষ বদলি করে কোনো অন্যায় বা ভুল করেননি। প্রতিষ্ঠানের পাঠদান উন্নতির জন্যই সামান্য বদলি করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, বহু চেষ্টা-তদবির করে নতুন অধ্যক্ষ মহোদয়কে আনলাম আর অমনি তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক। আমি নিজে এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র। এটাকে আমি সুন্দর করে গড়ে তুলতে সবার সহযোগীতা চাই।

অপর একজন শিক্ষক বলেন, ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বহিরাগতরা। এ নিয়ে সাধারণ ও ডায়েরি ও থানায় নালিশ পাল্টা নালিশও চলছে। 

দুই শাখায় প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থী ও তিনশ এর মতো শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। 

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031130313873291