মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি : চেয়ারম্যান - দৈনিকশিক্ষা

মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি : চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৬ হাজার ১৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ‌্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে শূন্যপদে তথ্য সংশোধন চলছে। অপরদিকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এখনো মেলেনি। শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের পর মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললে শিগগিরই তৃতীয় দফায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানান এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন।

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার ৫০৮ টি এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএর কাছে আছে। এর মধ্য থেকে ১ হাজার ২৮৪ পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে। শূন্যপদের তথ্য সংশোধন চলছে।  এমুহূর্তে ৫৬ হাজার ১৯৩ পদের তথ্য এনটিআরসিএর কাছে আছে। ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমরা সার্বিক বিষয়টি উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু অনুমতি এখনো পাইনি। এদিকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন চলছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। 

আশরাফ উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সঠিকভাবে এসব পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করতে যাচ্ছি এজন্য শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ চলছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে৷ ১৫ মার্চ পর্যন্ত আমরা তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি। আশা করছি সে সময়ের মধ্যে শূন্যপদে তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে।  

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন কোন গণমাধ্যম লিখেছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। কেউ কেউ লিখেছে আরো তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির পরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেয়ার কাজ শুরু করেছি। যার যা ইচ্ছে লিখেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এখনো পাইনি। এতটুকুই বলার আছে। আসলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব মহোদয় এ বিষয়ে আন্তরিক। মন্ত্রীমহোদয় শুরু থেকেই তাগিদ দিচ্ছেন যে, অর্ধলক্ষ শিক্ষক পদ খালি। আশাকরছি অনুমতি পেলে দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু করতে পারব।

তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ২৮৪ জন শিক্ষকের সমস্যা সমাধান করছি। ইতোমধ্যে সবার এমপিওভুক্তির কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষকের জন‌্য নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশভুক্ত বিষয় না থাকায় তারা অভিযোগ জানিয়েছেন। এ কারণে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অভিযাগ জানাতে এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তথ্য পাওয়ার পর তা সমাধান করা হবে।’

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, বর্তমানে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তা শেষ হবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে নানা ধরনের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। কেউ ১৬তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশের আগে, আবার কেউ পরে নতুন নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরাও সেই ভাবেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।

স্কুল-কলেজে, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী শূন্য পদ পূরণ করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করেছে এনটিআরসিএ। এ বিষয়ে আদালতের কিছু আদেশ আছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, আবেদন প্রক্রিয়া কোন পদ্ধতিতে হবে, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আটটি অঞ্চলের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে ১৫ মার্চের মধ্যে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে ৮ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিকভাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে শূন্যপদে তথ্য সংশোধনের সহযোগিতা করছেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যাতে লগইন করে নিজেরাই শূন্যবাদ এর তথ্য সংশোধন করতে পারেন সার্ভারে সে সুযোগ দেয়া হয়েছে। নিবন্ধিত প্রার্থীদের কথা চিন্তা করে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।

এদিকে ১-১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্রুততম সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছে। আর ১৬তম প্রার্থীরা চাচ্ছেন তাদের ফল প্রকাশের পর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হোক।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045502185821533