কোনো জায়গায় যখনই প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন সশরীরে বা ইন-পার্সন পরীক্ষাসহ অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় না। তখন মন্দের ভালো হিসেবে সারা বিশ্বে অনলাইনে কার্যক্রম চলছে এবং এ ক্ষেত্রে অনলাইনই বিকল্প পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অনলাইন অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই, সে জন্য সেভাবেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সারা পৃথিবী যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে আমরাও ঠিক সেভাবেই অগ্রসর হব। তবে আমাদের এটাও মানতে হবে যে, অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা, প্রতিকূলতা এবং ঘাটতি আছে। আর সেগুলো মাথায় নিয়েই আমাদের চলতে হবে। ক্রমান্বয়ে সেগুলো সুরাহা করতে হবে, সমাধান করতে হবে। তারপর, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
করোনার ভারতীয় ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, আমাদের সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাই না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনলাইনে চলবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার চিন্তা করছে। এ জন্য একটি ডিজিটাল হাব তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, সীমাবদ্ধ, প্রতিকূলতা ও ঘাটতি এসব বিষয় নিয়েই সামনে অগ্রসর হতে হবে কারণ তাহলেই কেবল ক্রমান্বয়ে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান সম্ভব হবে।
যখন প্রতিকূল থাকবে যার কারণে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা এবং ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে না, তখন অনলাইনের মাধ্যমে এগোতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে ক্রিয়াশীল থাকে এবং এসব পরিস্থিতির কারণে যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন স্থবির হয়ে না পড়ে, সে কারণে শিক্ষা-কার্যক্রম অনলাইনেই সম্পন্ন করতে হবে।