মশা মারার ব্যাট ব্যবহারে সাবধান - দৈনিকশিক্ষা

মশা মারার ব্যাট ব্যবহারে সাবধান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঘরে-বাইরে মশার দাপট এখন দুর্দমনীয়। যন্ত্রণায় বাইরে কোথাও বসা দায়। স্বস্তি নেই বাসায়ও। মশার কামড় থেকে বাঁচতে অনেকেই ইলেকট্রিক ব্যাট কিনছেন। ব্যবহার করছেন বাসাবাড়ি ও অফিসে। এই ব্যাট এখন অত্যন্ত জরুরি নিত্যপণ্য। তবে সতর্ক এবং সাবধান না হলে মশা নিধনে ব্যবহূত ব্যাটও বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

অনেকেই রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা ঠিকভাবে বন্ধ করেন না। আবার কেউ মশা থেকে বাঁচতে ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে বদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে থাকে। তখন মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটের স্পার্ক থেকে মুহূর্তে ঘরে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে বিস্ম্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। গতকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের তিনটি এলাকায় পৃথক ঘটনায় মশা মারার ব্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বড় দুর্ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ দল। এ ছাড়া এই চালু ইলেকট্রিক ব্যাটের স্পর্শে অনেক সময় বাসার শিশুরা ভয় পান। সম

সর্বশেষ ঘটনা ঘটে শুক্রবার ফেনী পৌরসভার শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের শফিক ম্যানশনের পঞ্চম তলায়। ফেনীর বিস্ফোরণে বাসার পঞ্চম তলায় থাকা মা মেহেরুন নেছা (৪০) এবং দুই মেয়ে হাফসা ইসলাম (১৫) ও ফারাহ ইসলাম (১৮) দগ্ধ হন। মা ও হাফসার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাদের দু'জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামে। মেহেরুন নেছার স্বামী মাহফুজুল ইসলাম সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিস্ত্রিয়করণ দলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, কোথাও কোনো বিস্ম্ফোরণের ঘটনা জানতে পারলে আমরা সেখানে আলামত পরীক্ষার জন্য যাই। এখন পর্যন্ত ফেনীসহ তিনটি ঘটনায় দেখা গেছে, মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছর রাজধানীর মীরবাগের বাসায় মশার ব্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে এক নারী মারা যান। এ ছাড়া বছর দুয়েক আগে গাজীপুরের একটি বাসায় চার শিক্ষার্থী মারা গেছেন।

রহমত উল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বাসার ভেতর যাতে স্বাভাবিকভাবে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। গ্যাস জমে থাকা কক্ষে ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করা বিপজ্জনক। সে ক্ষেত্রে এটা যে কোনো সময় মরণফাঁদ হয়ে উঠতে পারে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্যাসের সঙ্গে আগুনের সংযোগ ঘটলেই বিপদ ঘটবে। মশা মারা ইলেকট্রিক ব্যাট থেকে স্পার্ক হয়ে তা গ্যাসের সঙ্গে যুক্ত হলে দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই সতর্ক হয়ে এই ব্যাট ব্যবহার করতে হবে। 

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, গত বছর মীরবাগের বাসায় যে নারী মশা মারার ব্যাট ব্যবহার করতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন, তিনি বাথরুমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে বাথরুমে ঢোকার আগে দেখেন ভেতরে অনেক মশা। তাই তিনি মশা মারার ব্যাট বাথরুমের ভেতরে ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তিতাস গ্যাসের লাইন ছিদ্র হয়ে বাথরুমের ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। যখনই তিনি মশা মারার ব্যাট চালু করেছিলেন, তখনই গ্যাসের সাহায্যে আগুন ধরে যায়।

সংশ্নিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় ফ্রিজ, এসি, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিস বিস্ম্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এ ধরনের দুর্ঘটনায় নানা সময় প্রাণহানিও ঘটেছে। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মশা মারার ব্যাট। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033540725708008