মহীসোপান নিয়ে ভারতের আপত্তির জবাব দেবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মহীসোপান সংক্রান্ত দপ্তর সিএলসিএসে বাংলাদেশ ২০১১ সালে মহীসোপানের দাবি উত্থাপন করে। কিন্তু ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হলে পরবর্তী সময়ে সংশোধিত দাবি পেশ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দাবির ব্যাপারে মিয়ানমার পর্যবেক্ষণ পেশ করলেও ভারত সরাসরি আপত্তি জানায়।
ভারতের আপত্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অনু বিভাগের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খুরশেদ আলম রোববার বলেন, আমরা ভারতের আপত্তি পর্যালোচনা করছি। এ ব্যাপারে আমরা উপযুক্ত সময়ে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জবাব দেব। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
মহীসোপানের ব্যাপারে ভারতের এমন আপত্তি খুবই ‘ডেসপারেট মুভ’ বলে ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন। তারা মনে করেন, ভারতের আপত্তি ধোপে টিকবে না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের নির্দেশনার আলোকে দাবি জমা দিয়েছে। এখানে ভারত একটি ‘গ্রে এলাকা’র বিষয় উল্লেখ করেছে। ‘গ্রে এলাকা’ হলো পানি। মহীসোপান হলো পানির তলদেশের দাবি, যার সঙ্গে ‘গ্রে এলাকা’র কোনো সম্পর্ক নেই।
আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের মালিকানা বাংলাদেশের। সেই আলোকে বাংলাদেশ সংশোধিত দাবি পেশ করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই মেনে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালত ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত করে রায় দিয়েছে। এতে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পেয়েছে। মহীসোপানের বিরাট এলাকাজুড়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি আগে বাংলাদেশের বলে দাবি করা হলেও রায়ের মাধ্যমে তা ভারতের সীমানার অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে ওই সময়ে বাংলাদেশ রায়কে উভয় দেশের জন্য উইন উইন বলে অভিহিত করে। ভারতও রায় মেনে নিয়ে বিবৃতি দেয়।