সমালোচনার মুখে সরকারি করোনাভাইরাসের টিকা নিতে জেলা সদরে যাতায়াত ও নাশতা খরচের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলা টাকা ফেরত দিলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান।
১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকল শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে টিকা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীকে জেলা সদরে নিয়ে টিকা দেয়া হয়।
টিকা দেওয়াকে পুঁজি করে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরিবহন ও নাশতা খরচের জন্য ২০০ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এতে সমালোচনার মুখে শনিবার বিকেলে মাইকিং করে টাকা ফেরত দেয়ার ঘোষণা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। রবিবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিতে শুরু করেন এ প্রধান শিক্ষক।
সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিবহন ও নাশতার খরচের জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছিল সে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজ-উদ-দৌল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনে তাৎক্ষণিক টাকা ফেরত দিতে বলি। আমার জানামতে, ওই টাকা ফেরত দেয়া শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।