অপরূপ সিলেট। লকডাউন শেষে হাফ ছেড়ে বাঁচতে সিলেটে ছুটছে মানুষ। সিলেটের বিছানাকান্দি রূপের ডালা সাজিয়ে রেখেছে। পাথর, স্বচ্ছ পানি ও পাহাড়ের রূপে মুগ্ধ সবাই।
বিছানাকান্দি যেতে গোয়াইনঘাট উপজেলার টেকনাগুল থেকে নিতে হয় নৌকা। এসব নৌকায় সহযোগি হিসেবে কাজ করে ছোট্ট মো. এরশাদ আলী। করোনার আগে স্কুলে যেতো এরশাদ। করোনা বদলে দিয়েছে সব। করোনার সময়ে বাবাকে হারিয়েছে।
চার ভাইবোন তার। বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। খোঁজ রাখে না পরিবারের। এরশাদের ছোট্ট একটা বোনও আছে।
এরশাদ টেকনাগুল ঘাটে সময় কাটায় সারাদিন। দিনে অন্তত একটা নৌকা চাই। একবার নৌকায় উঠলে তার মেলে ৫০ টাকা। এই টাকা না হলে জোটে না ভাত। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। এরশাদ জানায়, দিনে একটা শুক্রবারের দিন দুইটা নৌকাও পাওয়া যায়। এই একবার নৌকা পাওয়ার জন্য সারাদিন অপেক্ষা করতে হয়।
এরশাদ কুনকিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। একবার নৌকা ভ্রমণে সময় লাগে সব মিলিয়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। আর নৌকা ভাড়া ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। কিন্তু এরশাদ পায় মাত্র ৫০ টাকা। এরশাদ বলে, যদি কেউ বকশিস দেয় সে টাকারও অর্ধেক দিয়ে দেয়া লাগে। আমার এই ৫০ টাকা না পাইলে পেট ভরে খাওয়া হয়না।
স্কুলে ফিরবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে চোখ ফিরিয়ে নেয় এরশাদ। মন খারাপের ছাপ স্পষ্ট। বলে, এই ৫০ টাকাটা আমার দরকার। ছোট বোন, মা নিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য। স্কুল গেলে এই ৫০ টাকা পাবো কই?
সূত্র : মানবজমিন