মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তিন বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা আসলেও দাখিল পর্যায়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চার বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাধ্যমিকের মতই ২৪ নভেম্বর থেকে দাখিল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে দাখিল ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। কোন বিষয়ে কত নম্বরের পরীক্ষা হবে এবং এর কত শতাংশ লিখিত এবং কত শতাংশ নৈর্বেত্তিক থেকে আসবে তার বিস্তারিত জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ নভেম্বের থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দাখিল ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং দাখিল ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ ,বাংলা, ইংরেজী এবং সাধারণ গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে। ৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে ১ ঘণ্টা ৩০মিনিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়ে নির্দেশনা অধিদপ্তর বলছে, কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ ,বাংলা, ইংরেজী এবং সাধারণ গণিত বিষয়ে যেসব অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যেসব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা দাখিল ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস।
বার্ষিক পরীক্ষার মানবণ্টন নিয়ে অধিদপ্তর জানিয়েছে, কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর থাকবে। বাংলা ১ম ও ২য় পত্রে মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে, এ বিষয়েও লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর থাকবে। ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রে মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে, এরমধ্যে ১ম পত্র থেকে ৩০ ও দ্বিতীয় পত্র থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে পরীক্ষায়। সাধারণ গণিত বিষয়েও ৫০ নম্বরে পরীক্ষা হবে এবং এর লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর থাকবে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের আসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে। বার্ষিক পরীক্ষায় দাখিল ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে ওই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বার্ষিক পরীক্ষার ফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট দিতে হবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে মাদরাসাগুলো প্রধানদের।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন