গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দোঘড়িয়া দারুসুন্নাহ মজিদিয়া দাখিল মাদরাসা ও কৃষ্ণপুর ছয়ঘড়িয়া শাহ হান্নানিয়া দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, দোঘড়িয়া দারুসুন্নাহ মজিদিয়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির কাউকে না জানিয়ে দপ্তরি, আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগদানের জন্য গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকু ও মাদরাসা সুপার মো. আজিজুল হক। টাকার বিনিময়ে তারা নিজেদের মনোনীত ব্যক্তি দিয়ে আবেদন করান। এ ঘটনায় দোঘড়িয়া দারুসুন্নাহ মজিদিয়া দাখিল মাদরাসার সদস্য দেলোয়ার হোসেন মন্ডল ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুর বলেন, একজন অভিযোগ করতেই পারে। অভিযোগের তদন্ত হোক। সুপার আজিজুল হক বলেন, সদস্য দেলোয়ার হোসেন মন্ডল আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়ে সভাপতি জানেন।
অপরদিকে, কৃষ্ণপুর ছয়ঘড়িয়া শাহ হান্নানিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধেও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি শাহ আবু হান্নান ও সুপার আব্দুল মান্নান উৎকোচ নিয়ে আয়া পদে রিনা বেগম ও নাইটগার্ড পদে বিপুল মিয়াকে নিয়োগ দেন।
এ বিষয়ে সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, সভাপতি প্রার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন আমাকে জানাননি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম পারভেজ বলেন, দোঘড়িয়া দারুসুন্নাহ মজিদিয়া দাখিল মাদরাসার বিষয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কৃষ্ণপুর ছয়ঘড়িয়া শাহ হান্নানিয়া দাখিল মাদরাসার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোবিন্দগঞ্জ ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।