সরকার নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক হওয়ার আবেদন করতে পারছেন না অমুসলিমরা। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের আবেদন নিচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে তারা দেখতে পাচ্ছেন, শুধু মুসলিম প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। গতকাল বুধবার দৈনিক আমাদের বার্তার পক্ষ থেকে বিষয়টি নজরে আনা হলে এনটিআরসিএর কর্তা ব্যক্তিরাও বিব্রত হন। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে আশ্বস্ত করেন। তারা জানান, অনলাইনে আবেদন করার সফটওয়্যারটি অন্য একটি সরকারি সংস্থার, এনটিআরসিএর নয়।জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএকে কারিগরি সহায়তা দেয় টেলিটক। মূলত তাদের তৈরি করা সফটওয়্যারেই প্রার্থীদের নিয়োগের আবেদন নেয়া হয়।
দেবাশীষ বিশ্বাস নামের একজন প্রার্থী দৈনিক আমাদের বার্তাকে অভিযোগ করে বলেন, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন স্কুল কলেজে আইসিটি শিক্ষক পদ বেশি। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে মাদরাসায় আইসিটি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের আবেদন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছি। সিস্টেম নোটিফিকেশনে বলা হচ্ছে, ‘শুধু মুসলিম প্রার্থীরা এ পদে আবেদন করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, আমি ৬ মাসের ডিপ্লোমা করে আবেদন করছি না। ১৬তম নিবন্ধনে তিনি উত্তীর্ণ জানিয়ে ওই প্রার্থী আরও বলেন, আমি অনার্স মাস্টার্স করে নিবন্ধিত। কিন্তু আমি আবেদন করতে গেলে মাদরাসায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আবেদন নেয়া হচ্ছে না। এই প্রার্থী আরও জানান, ১৫০টি মাদরাসায় আইসিটি প্রভাষক পদ শূন্য আছে। কিন্তু ১৪০টি মাদরাসায় আইসিটি শিক্ষক পদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আবেদন নিচ্ছে না। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে তার অভিযোগের প্রমাণক সরবরাহ করেছেন। যেগুলো দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে আছে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বুধবার রাতে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। আমরা শিগগিরই এ বিষয়টি নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সঙ্গে কথা বলবো।