নীলফামারীর ডোমারে পাঙ্গা চৌপথি আব্দুল মজিদ আলীম মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তিনটি পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ ও পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ডোমার-ডিমলা সড়কের পাঙ্গা চৌপথি এলাকায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন নিয়োগ প্রত্যাশী ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে চৌপথি মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থী আব্দুল আজিজ, লাভলী বেগম, নুর জামান, এলাকাবাসী তফিজার রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ অনেকে।
বক্তরা বলেন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে গত ছয় নভেম্বর রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও-এ ফাজিল মাদরাসায় টাকার বিনিময়ে তিন জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দুলাল হোসেনকে পরীক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে নিয়োগের জন্য দেয়া টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত ও পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আয়া পদে চাকরি প্রত্যাশী লাভলি বেগমের স্বামী সাজেদুর রহমান মানিক বলেন, আমার স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগের জন্য সভাপতি দুলাল হোসেন আট লাখ টাকা নেয়। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য দুলাল হোসেন আট লাখ টাকার সই করা চেক দেন আমাকে।
তিনটি পদে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ ও সভাপতি ১২ জনের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ নেয় বলে তারা দাবি নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বক্তরা টাকার বিনিময়ে দেয়া নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।
মাদরাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে ঘুষের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নীলফামারী জেলায় পরীক্ষা না নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে গিয়ে পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষা নেয়ার সংবাদটি প্রচার হলে অনেকেই তারাগঞ্জে গিয়ে তাদের সাথে কথা বললে উল্টো তারাই দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নিয়োগ প্রত্যাশীদের।
এ বিষয়ে মাদরাসাটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি দুলাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারাগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষকে পরিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি আগামী মঙ্গলবার টাকা ফেরত দিতে চাইলে তারা অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয়। চাকরি প্রার্থীর স্বামী মানিককে আট লাখ টাকার চেক দেয়ার বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার কয়েকটি চেক হারিয়ে গেছে। আমি থানায় জিডি করবো এ বিষয়ে।
যদিও মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে মতামত জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।