ভোর রাতে দাখিল মাদরাসার অফিস কক্ষে আগুন। মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ, কিন্তু জানালা কাঁচ ভাঙা। তাতেই ডানা মেলেছে সন্দেহ। শুধু তাই নয়, গভীর রাতে বসে মাদকের আড্ডা এমন অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সদস্যে। তবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত কাজ চলছে।
গতকাল শনিবার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌপাড়া দাখিল মাদরাসার অফিসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাদ্রাসার কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়েছে। মাদরাসা সুপারের দাবি অগ্নিকাণ্ডে তাদের ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোর রাতে মাদরাসায় আগুন লাগে। এসময় নৈশপ্রহরী মাদরাসায় ছিলেন। পরে নৈশপ্রহরী স্থানীয়দের ডেকে আগুন নেভানো চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। তাতে মাদরাসার অফিসে থাকা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বঙ্গবন্ধু কর্নারের আসবাবপত্র ও শিক্ষা উপকরণ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ধোপাঘাটা অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল কাশেম খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার বারান্দায় রাতে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসে। কেউ শোনেনা আদেশ নিষেধ। অফিসের জানালার কাঁচ ভাঙা থেকে অনুমান করা হচ্ছে কেউ চক্রান্তমূলকভাবে আগুন দিয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন তিনি।
মাদরাসার নৈশপ্রহরী আতাউর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভোর রাতে হঠাৎ করেই আগুন জ্বলে ওঠে। আমি আতঙ্কিত হয়ে পরি। গ্রামের লোকজনদের নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়।
মাদরাসা সুপার দেরাজ উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতিদিনের মতো অফিস কক্ষের মেইন সুইচ বন্ধ ছিল। জানালার কাঁচ ভেঙে আগুন দিয়ে কেউ এ ধরণের ক্ষতি করেছে বলে ধারণা করেন তিনি। তিনি আরও জানান, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। এতে কাগজপত্র ছাড়াও প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনদের ডাকা হয়েছিল, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট হতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে পারে। তদন্ত কাজ চলছে।