নতুন বছরে প্রত্যেক শিক্ষককে অন্তত পাঁচজন করে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দিয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনের ব্যাংকের চেক বই জমা নিয়েছেন মাদরাসার সুপার। আর এ নির্দেশনা না মানা হলে শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও থেকে মাদরাসা পরিচালনার খরচ হিসেবে টাকা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুপার।
এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রহমতনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির নির্দেশ দিয়ে তাদের চেক বই নিয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপার আতিকুর রহমান। তা না হলে এমপিও থেকে টাকা কেটে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও সুপার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা শিক্ষার্থী সংগ্রহে এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন যদি শিক্ষার্থীরা আমাদের মাদরাসায় ভর্তি না হয়, তাহলে আমাদের করার কী আছে। কয়েকজন শিক্ষকের বাড়ি উপজেলার বাইরে। তাদের পক্ষে ছাত্রছাত্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এসব নিয়ে সংকটের মধ্যে আছি আমরা।’
এ অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার আতিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।