মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটির শাখা নিয়ে কি হচ্ছে? - দৈনিকশিক্ষা

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটির শাখা নিয়ে কি হচ্ছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আইন অনুসারে নেই বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, আছে রেজিট্রেশনের সীমাবদ্ধতাও। শুধু শাখা খোলার অনুমোদন নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে এরই মধ্যে বিতর্কের মুখে পড়েছে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস। একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সরকারি অনুমোদনের বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার পর সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। দেয়া হয় শোকজ, জবাব আসার পর এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউজিসি!  তদবিরে আছে কতিপয় নামধারী সাংবাদিক। যারা ইতিমধ্যে তথ্য গোপন করে নিজেদের ইরাব নেতা পরিচায় দিয়ে মালয়েশিয়া ও ঢাকায় টুপাইস কামিয়ে সর্বব্যপী নিন্দার মুখে রয়েছে। 

আরো পড়ুন : যে দেশে স্কুলের চেয়ে ইউনিভার্সিটি সহজ

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বৈঠকে বসার বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছেন, ‘ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসকে শোকজ করা হয়েছিল। তারা একটা লিখিত উত্তর দিয়েছে। আমরা এখন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। এজন্য কমিটি আছে। দেখা যাক সব যাচাই-বাছাই পর্যালোচনা করে; অবশ্যই আইন অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সবাইকে অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে। কেউ আইনের বাইরে নয়।' 

আরো পড়ুন : ইরাব পরিচয়ে নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

কমিশনে কর্মরত ও অতীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুষ নেয়ায় অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্য রয়েছে নামধারী কতিপয় সাংবাদিকের। যারা ইতিমধ্যে পেশায় চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত। 

ইউসিএসআইএর জবাব সন্তোষজনক হয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন,' ইউসিএসআই বাংলাদেশ শাখা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং যে প্রজ্ঞাপনের বলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার অনেককিছুকে পাশ কাটিয়ে গেছে। ইউজিসি যেসব বিষয় আপত্তি তুলেছিল তার অনেকগুলোরই সন্তোষজনক জবাব তারা দিতে পারেননি। আইনের বাইরে কেউ থাকতে পারবে না। সবাইকে অবশ্যই আইনের মধ্যে থাকতে হবে।'

গত বছর ১২ ডিসেম্বর প্রথম শাখা ক্যাম্পাস হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। এর ক্যাম্পাস ঢাকার বনানীতে অবস্থিত। গত ১ মার্চ রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-চ্যান্সেলর টুংকু জাইন আল-আবিদিন ও বাংলাদেশে মালয়েশিয়া দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হাজনা মো. হাশিম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওহিদুজ্জামান ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের সভাপতি, পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেডিডেন্ট হিসেবে আছেন মো: আরিফুল বারী মজুমদার।

সম্প্রতি ২১টি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং ৩টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দ্রুত পাঠদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মাঝে দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা থেকে এসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে।

 ইউজিসির শোকজ

জানা গেছে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি), রেজিস্ট্রেশন না থাকাসহ শুরুতেই একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শাখা ক্যাম্পাসের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল ইউজিসি। গত ৩ মে ইউজিসির সিবিএইচই শাখা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশটি পাঠানো হয়। এরপর ৯ মে নোটিশের জবাব দেয় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি চারটি ধারা লঙ্ঘন করেছে। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন-২০১৪ এর ৪ (১), (৬); ৭ (চ), (ঞ); ১১ (১), (গ) এবং ১২(২) ধারা লঙ্ঘন করেছে ইউসিএসআই।

বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন-২০১৪ এর ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি কমিশনের নিকট হইতে সাময়িক অনুমতিপত্র বা ক্ষেত্রমত, সনদ গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবে না।’

৪ (৬) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উপবিধি (৪) এর অধীন আবেদন প্রাথমিকভাবে মঞ্জুর করা হইলে কমিশন সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র সরকারের নিকট উহার সুপারিশসহ পেশ করিবে এবং সরকার প্রত্যেকটি মঞ্জুরকৃত আবেদনপত্রের জন্য একটি করে রেজিস্ট্রেশন ইস্যু করিবে।’

৭ (চ)-তে বলা হয়েছে, ‘বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত একটি পরিকল্পনা থাকিতে হইবে।’ (ঞ)-তে বলা হয়েছে, ‘কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তিন (৩) সদস্য সমন্বয়ে একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থাকিতে হইবে।’

১১ (১) এর (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘মিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনাপূর্বক শিক্ষক বা কর্মচারী হিসাবে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিবে।’

১২ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কমিশন, উপ-বিধি (১) এর অধীনপ্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই বাছাইপূর্বক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী বিধি ৭ এ বর্ণিত শর্ত পূরণ করিয়াছে তাহা হইলে সরকারের নিকট সেই মর্মে একটি প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং সরকার, কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশের ভিত্তিতে, আবেদনকারীর অনুকূলে শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন বা পরিচালনার জন্য সনদপত্র ইস্যু করিবে।’

কমিশন সচিব ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ বলা হয়েছিল, ‘বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা, ২০১৪ '-এর বিধি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস কর্তৃক ব্যত্যয় ঘটেছে বলে কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ অবস্থায় যথোপযুক্ত জবাব আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওইদিন ইউজিসি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দেশে মালয়েশিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা অনুমতি না নিয়েই শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। শাখা স্থাপনের অনুমোদন আর একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি এক নয়। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের শোকজ করা হয়েছে। জবাব দেয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

যা বলে ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ

বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত জবাবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ বছরের জন্য ক্যাম্পাসটিকে সাময়িক অনুমতি দেয়। এরপর ইউজিসি প্রস্তাবিত ক্যাম্পাস সরেজমিন পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হয়ে এ বছরের ৩০ মার্চ তাদের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এরপরই আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (প্রযোজ্য ধারা ৫০, ধারা ৩ ও ৩৯) এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ এর নির্দেশনায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের শিক্ষা কার্যক্রম (প্রোগ্রাম বা কোর্স) কমিশন কর্তৃক পূর্ব অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ নাই। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আইন বা বিধির ব্যত্যয় ঘটেনি বলে আমরা মনে করছি।’

জবাবে আরো বলা হয়েছে, ‘২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ১২ ডিসেম্বর এক স্মারকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধি ৫ (৪) ও ৫ (৫) অনুসারে সাত বছরের জন্য বাংলাদেশে ক্যাম্পাস পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দিয়েছে। এই মেয়াদকাল শেষ হবে ২০২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর। যা শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে বিধি ১২ ও ৭-মোতাবেক নির্ধারিত ফি ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়ে সনদপত্রের জন্য আবেদন করা হবে। এ ক্ষেত্রেও বিধি ১২ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেনি।’

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বলছে, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাময়িক অনুমোদনপত্রের শর্তানুসারে আমরা কমিশনের নির্ধারিত ফরমে একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রস্তাব করেছি। অদ্যাবধি উল্লেখিত বিষয়ে ইউজিসি হতে কোনো মতামত পাইনি। মতামত বা প্রস্তাব পেলে যথাযথ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিধি বা আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।’

অধ্যাপক ড. ফেরহাত আনোয়ার কি দায়িত্বে আছেন?

এই চিঠিটি প্রতিষ্ঠানটির ইনসাইট ইনস্টিটিউট অফ লানিংয়ের চেয়ারম্যান বরাবর ইস্যু করে ইউজিসি। এক সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার। এখন তিনি আছেন একাডেমিক এ্যাডভাইজার হিসেবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা না জেনে আমাকে কেন প্রশ্ন করছেন। ওয়েবসাইটের পুরোনো তথ্য দেখে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন।’ তাহলে কি আগে দায়িত্বে ছিলেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সেলফোনের লাইন কেটে দেন।'

তবে তার দাবির মিল পাওয়া যায়নি; মেলেনি ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি’র বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেডিডেন্ট মো: আরিফুল বারী মজুমদারের বক্তব্যের। জানা গেছে, তিনজন উপদেষ্টা রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির। এর মধ্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার একজন। অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ারের সঙ্গে ভার্সিটির সম্পর্কের বিষয়টি জানতে চাইলে মো: আরিফুল বারী মজুমদার বলেছেন, ‘স্যার এক সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান নেই, তবে তিনি আমাদের একাডেমিক এ্যাডভাইজার হিসেবে আছেন।’

ভর্তি প্রক্রিয়া কি চলবে?

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইউজিসির নোটিশের পরও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিষয়টি নজরে আনা হলে ইউজিসির অন্তত তিনজন কর্মকর্তা বলছেন, অনুমোদন পাওয়ার আগে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারে না। পাঠদানও করতে পারবে না। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি দিলেও প্রতিষ্ঠানটির সেই কার্যক্রম আপাতত ‘বৈধতা’ পাচ্ছে না। ভুল স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্ষমা চাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তারা যে অনিয়ম করেছে তা স্পষ্ট। সেসব প্রমাণ ইউজিসির হাতে রয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়ে ইউসিএসআই ঢাকা ক্যাম্পাস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের একজন ইউজিসিতে যোগাযোগ করেছেন। তিনি মৌখিকভাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।’

কর্মকর্তারা বলছেন, শাখা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় নিজেরা এমনকি তাদের হয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও কেউ কেউ শাস্তি এড়ানোর জন্য তদ্বির করছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে মো: আরিফুল বারী মজুমদার বলেন, ‘আমরা শাখার অনুমোদন পেয়েছি। একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর জন্য অনুমতি নিতে হবে এমন কোন ধারা-উপধারা আমরা কোথাও পাচ্ছি না। এটা তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় না। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা। তারপরেও যদি তেমনটা থাকে ইউজিসি আমাদের বলুক। তারা যেটা বলবে আমরা সেভাবেই চলব।’

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.012115955352783