মিল মালিক-মুদ্রাকর সিন্ডিকেটের কবলে আটকে গেছে মাধ্যমিকের পাঠ্যবই - দৈনিকশিক্ষা

মিল মালিক-মুদ্রাকর সিন্ডিকেটের কবলে আটকে গেছে মাধ্যমিকের পাঠ্যবই

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

প্রাণঘাতী করোনার মধ্যে নতুন পাঠ্যবই নিয়ে পেপার মিল মালিক ও মুদ্রাকর সিন্ডিকেটের তৎপরতার কথা আগেই সামনে এসেছিল। সঙ্কট তৈরির তৎপরতার খবর প্রকাশ্যে আসলেও শেষ পর্যন্ত অসাধু সিন্ডিকেটের কবল থেকে নতুন বছরের পাঠ্যবইকে রক্ষা করা যাচ্ছেনা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে নতুন বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে বই পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এই সময়ে প্রায় শতভাগ পাঠ্যবই উপজেলা ও স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেলেও এবার ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি বই সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রাথমিকের বই সরবরাহ একটু ভাল হলেও পেপার মিল মালিক ও মুদ্রাকর সিন্ডিকেটের কবলে আটকে গেছে মাধ্যমিকের বই। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন বিভাষ বাড়ৈ।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্মকর্তা, মুদ্রাকর এমনকি পাঠ্যবই ও কাগজের মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানও বলছে, করোনার কারণে কাজের সঙ্কট তো আছেই। তবে এই সুযোগে নতুন পাঠ্যবই নিয়ে পেপার মিল মালিক ও মুদ্রাকর সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারণেই এখন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সঙ্কট উত্তরণে পেপার মিল মালিক ও এনসিটিবির মধ্যে বৈঠক হলেও সেখানে সুখবর মেলেনি।

বৈঠকে বাজারে বইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন কাগজ ও সেই কাগজের দাম সহনীয় রাখার অনুরোধ রাখা হলেও তাতে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি পেপার মিল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। আর মুদ্রাকরের একটি অংশ এর ফায়দা লুটতে বলছেন, টেন্ডারের সময়ের তুলনায় এখন কাগজের দাম অনেক বেশি। আবার প্রয়োজনীয় কাগজও নেই। ফলে এমন অবস্থায় তাদের পক্ষে সকল পাঠ্যবই ছাপিয়ে সরবরাহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। শতভাগ পাঠ্যবই নতুন বছরের প্রথম দিনই সরবরাহ হচ্ছে বলে এনসিটিবি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পক্ষে বলা হলেও, খোদ পাঠ্যবই ও কাগজের মান তদারকির কাজে সরকার নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিসেস বিডি বলছে সম্ভব হচ্ছেনা। এবার পাঠ্যবই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা এ প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শেখ বেল্লাহ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেছেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনভাবেই এবার ৭৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই স্কুলে পাঠানো সম্ভব হবেনা। প্রাথমিকের বইয়ের অবস্থা হয়তো একটু ভাল। তবে মাধ্যমিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বই এই বছর পাঠানো যাবেনা। নতুন বছরের প্রথম দিক সেটা হতে পারে।’

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে নিম্নমানের কাগজে কাজ হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি বা দুটি প্রতিষ্ঠান নয়। অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ হয়েছে পরিদর্শনে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে কাজ করার কারণে। যাদের হাতে বই আছে অন্তত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি।’ তাহলে এই পরিমাণে বই কি এ বছর বিতরণ করা সম্ভব হবেনা? এমন প্রশে শেখ বেল্লাল হোসেন বলেন, ঠিক তা নয়। সমস্যাতো হবেই। কিন্তু এদের মধ্যে যারা আবার ঠিক কাগজ আনছে তারা আবার কাজ শুরু করতে পারছেন। যদিও ৩১ ডিম্বেরের মধ্যে কোনভাবেই শতভাগহ বই পাঠানো সম্ভব হবেনা।

নিয়মানুযায়ী মাধ্যমিকের বইয়ের কাগজের জিএসএম (গ্রাম/স্কয়ার মিটার) ৬০ এবং প্রাথমিকে ৮০ ঠিক রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে মুদ্রণের অগ্রগতি ও গুণগত মান বজায় রাখতে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মানসম্মত না হওয়ায় বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা প্রাথমিক স্তরের ৬০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিন্ডিকেটের তৎপরতায় নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যক্রম নিয়ে রীতিমতো জটিলতায় পড়েছে এনসিটিবি। সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে কয়েক বছর সক্রিয় হতে না পারলেও এবার পুরনো কৌশলে বইয়ের সকল কাজ কব্জা করে ফায়দা লুটতে তৎপর হয়েছে একটি চক্র। জোটবদ্ধভাবে সরকারের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কমে দরপত্র জমা দিয়ে অধিকাংশ কাজ কব্জা করে এখন বইয়ের মান রক্ষা করতে পারছেনা বহু প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে কাগজের দাম বৃদ্ধিরও নেয়া হচ্ছে সুযোগ।

অসাধু ব্যবসায়ীরা এবার জোটবদ্ধভাবে সরকারের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কমে দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। এতে সরকারের টাকা সাশ্রয়ের আশা জাগলেও বই পাওয়া ও তার মান রক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একদিকে বাজার মূল্যের চেয়ে কমমূল্য দেখিয়ে দরপত্রে অংশ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ তাদের অনেকেই এখন কমদামে কাগজ কিনতে না পেরে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপার চেষ্টা করছে।

ঠিক এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ে নতুন বছরে নতুন বই পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আগের বছরগুলোতে অক্টোবর-নবেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বই পাঠানো হলেও এবার শেষ ডিসেম্বরের শেষ প্রান্তে এসেও ছাপার কাজ চলছে। প্রেস মালিকরা বলছেন, আমরা অবশ্যই ক্ষতির সম্মুখীন হবো যদি এভাবে কাগজের দাম বাড়তে থাকে। তাও চেষ্টা করছি কিভাবে কাজগুলো শেষ করা যায়। আমরা ডিসেম্বর কাজ শেষ করতে পারবো যদি ঠিক মতো কাগজ পাই।

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এবার নির্ধারিত সময়ে কোনভাবেই বই পাঠানো সম্ভব হবেনা। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, করোনার কারণে সমস্যাতো আছেই। তার ওপর সক্ষমতা যাচাই বাছাই না করে অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার একটি বড় কারণ। আবার এখন কাগজের দাম বৃদ্ধি একটি সমস্যা। প্রতিবছর টেন্ডারের সময়ে তুলনায় পরবর্তীতে কাগজের দাম কমলেও এবার হয়েছে উল্টো। এবার দাম রহস্যজনকভাবে বেড়ে গেছে। কেন বেড়ে গেছে তা দেখা দরকার। অবস্থা এমন যে, পেপার মিল মালিক সমিতির এক নেতাও বইয়ের কাজ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে তা সরবরাহ করেননি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা অবশ্য বলছেন, প্রাইমারীর ৭০% বই চলে গেছে উপজেলাতে এবং মাধ্যমিকের ৫০% এর ওপরে চলে গেছে উপজেলাগুলোতে। আমরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সঠিক সময়ে বই দেয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের হাতে ঠিক সময়েই বই পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেন চেয়ারম্যান।

এদিকে এক দশক ধরে নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের উৎসব করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে করোনার কারণে আট মাস ধরে স্কুলগুলো বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে এবার নতুন বইয়ের উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আগেই বলে দিয়েছেন, কোন সমাবেশ করে নয়। নতুন বছরে নতুন বইগুলো সকল শিক্ষার্থী কিভাবে পাবেন সে ধরনের নির্দেশনা স্কুলগুলোতে আমরা দিয়ে দেব।

২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের প্রায় ১০ কোটি কপি বই এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর জন্য ব্রেইল বইসহ (নয় হাজার ৫০৪টি) ২৪ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ৩৪৯টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। অন্যান্য স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩৬ কোটি বই ছাপাতে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন কাগজের প্রয়োজন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন কাগজ এনসিটিবি কিনে সরবরাহ করছে। বাকি ৭০ হাজার মেট্রিক টন কাগজ ছাপাখানার (প্রিন্টার্স) মালিকরা কিনে বই ছেপে সরবরাহ করবেন।

আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে প্রায় ৭০ লাখ কপি বইয়ের চাহিদা কমেছে। তবে প্রাথমিক স্তরে বইয়ের সংখ্যা কমছে না। এর আগে বহু বছর সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের শুরুর দিকে বিশেষ একটি চক্র জোটবদ্ধ হয়ে টেন্ডার জমা দিত সরকারের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে। যারা কম দামে কাজের কথা বলে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপিয়ে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতো। এরপর গত কয়েক বছর ধরে সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে চক্রটি সক্রিয় হতে পারেনি। বই ছাপা ও কাগজের মানও এই সময়ে ভাল হয়। তবে এবার করোনার কারণে নানা সীমাবদ্ধতার সুযোগে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাম গোত্রহীন কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানও। যারা ভাল মানের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে কাজ বাগিয়ে নেয়ার কৌশল নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে তারা জোটবদ্ধভাবে সরকারের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে দরপত্র জমা দিয়েছেন। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়েছে চারদিকে।

চলতি বছরের বইয়ের কাজ করেছিলেন এমন একটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মালিক হতাশা প্রকাশ করে বলছিলেন, আগামী বছরের বইয়ের প্রাক্কলিত রেটের ৩০/৩৫ শতাংশ কম রেট দিয়ে দরপত্র জমা দেইনি। কারণ, কম রেটে ভাল কাজ করতে পারব না। তাই আমাদের ছাপাখানা দেশের বৃহৎ হলেও আমরা কাজ পাচ্ছি না, এটাই বাস্তবতা।

ক্লাস-রোল অনুযায়ী বই বিতরণ ॥ করোনার কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে এবার বই বিতরণ করবে সরকার। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে এবার ক্লাস ও রোল অনুযায়ী বই প্যাকেটজাত করা থাকবে। ভিন্ন ভিন্ন দিনে ক্লাস ও রোল অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করবে। তবে যেসব স্কুলে শিক্ষার্থী বেশি সেখানে এটার ব্যত্যয় হতে পারে। কবে থেকে বই বিতরণ শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি। বই বিতরণে এমন নিদের্শনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল থেকেই বই বিতরণ করা হবে। মাঠ পর্যায়ে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক স্কুলে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্কুলে একেক ক্লাসের বই একেক দিন বিতরণ করা হবে। স্কুলে আগে থেকেই বই প্যাকেট করা থাকবে। শিক্ষার্থীরা শুধু সংগ্রহ করবে। মহাপরিচালক বলেন, কোন দিন কোন ক্লাসের বই দেয়া তা আগে থেকেই স্কুলের নোটিস বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেয়া হবে। তবে যেসব স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি সেখানে সকাল ও বিকেলে আলাদা করে বই দেয়া হবে।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013364791870117