মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম মিয়ার সঙ্গে বেয়াদবি করা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সেই কর্মকর্তাকে এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাসেম মিয়ার সঙ্গে বেয়াদবি করেছিলেন তস্য জুনিয়র এই কর্মকর্তা। নামধারী ও শিবিরপন্থী সাংবাদিকদের দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করানো হয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। যদিও তৎকালীন শিক্ষাসচিব সেই মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপককে ‘সরি’ বলেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীও বুঝতে পেরেছিলেন জুনিয়র কর্মকর্তার বেয়াদবির শাস্তি না দিয়ে উল্টো মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে ওএসডি করানো হয়। যদিও পরে অধ্যাপক কাসেমকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছিলো।
মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে বেয়াদবি করা সেই তস্য জুনিয়র কর্মকর্তাকে সোমবার (১৫ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ডিআইএর উপপরিচালক করায় শিক্ষা ক্যাডারের সিনিয়র অধ্যাপকরা অবাক হয়েছেন। তারা টেলিফোনে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে।
সেদিনের ঘটনা: সেদিন বিকেলে অফিসের ফাইলে ব্যস্ত পরিচালক মো. আবুল কাসেম। এমন সময় জুনিয়র ওই কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া্ই পরিচালকের কক্ষে ঢুকে পড়েন একটি ফাইল বগলদাবা করে। ফাইলটি ছিলো বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের শ্যালিকা ও ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যাপক বিতর্কিত অধ্যাপক নাছরিন বেগমের পাসপোর্ট করার অনুমতি বিষয়ক। যদিও ওই ফাইলটি নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার তস্য জুনিয়র ওই কর্মকর্তার ছিলো না। কারণ, পাসপেোর্ট করার অনুমতির বিষয়টি অন্য শাখার। অন্য শাখার এবং বিতর্কিত একজনের ফাইল নিয়ে আসার জন্য ওই তস্য জুনিয়র কর্মকর্তাকে মৃদু তিরস্কার করেন অধ্যাপক কাসেম। সেই তিরস্কারের ঘটনাকেই ‘ফাইল ছুঁড়ে মারা’ হিসেব রটিয়ে দেয় বাড়ৈ গং। ব্যবহার করা হয় নামধারী ও শিবিরপন্থী সাংবাদিকদের। ওএসডি করা হয় অধ্যাপক কাসেমকে। পৈশাচিক উল্রাসে ফেটে পড়ে বাড়ৈ বাহিনী।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কথা হয় অধ্যাপক কাসেমের সঙ্গে। কষ্টকথা মনে করতে চান না অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক ।