পিরোজপুরের মঠাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছে মাসুম চৌধুরী আপন (৩৭) নামে এক প্রতারক। প্রতারক মাসুম সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে প্রতারক মাসুম ও ঘটক সেলিনাকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। গত রোববার দায়ের হওয়া মামলায় প্রতারক মাসুম ও ওই ঘটককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটক সেলিনা বেগম ওই কলেজ ছাত্রীর পার্শ্ববর্তী তুষখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সম্প্রতি সে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেওয়া প্রতারক মাসুমকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ সময় মাসুম নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন এবং তার দুই বোন ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত বলে জানান। এতে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি হয়ে যায় এবং ১ নভেম্বর ঢাকা যাত্রাবাড়ির একটি কাজীঅফিসে তাদের বিয়ে হয়। গত ৬ নভেম্বর প্রতারক মাসুম ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি মঠবাড়িয়া ফুলঝুড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর তার প্রমোশনের কথা বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তখন তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেজর পরিচয়দানকারী মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন সদুত্তর দিতে না পাড়ায় আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাসুম একজন প্রতারক। সে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কখনো সিকিউরিটি গার্ড আবার কখনো নিজেকে জুট ব্যবসায়ী দাবি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মেজর পরিচয় দেওয়া মাসুম ও ঘটক সেলিনাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।