২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে আদেশে। এতে বলা হয়েছে রিটকারীদের মধ্যে ফলাফল ত্রুটির বিষয়ে যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত। আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১৯ মে ভর্তিচ্ছু ফেরদাউস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থী এ রিট করেন।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনের পর হুমায়ন কবির জানিয়েছিলেন, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় কেউ যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এ নিয়মটি পালন করা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীর ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
‘আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনো নম্বর কাটবার কথা নয়, সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ’
এ বিষয়ে আইনি নোটিশে তিন দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা এবং ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকা বাতিল করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পাওয়ায় রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী হুমায়ন কবির।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন