সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছিল না গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের অদম্য মেধাবী গোবিন্দ চন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে ‘মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত গোবিন্দর’ শিরোনামে প্রতিবেদন দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশিত হওয়ার পর তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
বুধবার(১২ মে) তিনি নিজ উদ্যোগে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে এনে তার মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করেন। সেই সাথে যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক গোবিন্দ চন্দ্রকে ভালো চিকিৎসক এবং আদর্শ মানুষ হয়ে মানুষকে সেবা করার পরামর্শ দেন।
ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম আজাদ। এভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে জাতি গঠনে অবদান রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
দারিদ্রকে জয় করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় মেধাবি শিক্ষার্থী গোবিন্দ চন্দ্র। সে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৭ নং ইদিলপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। তার বাবা কমল চন্দ্র পেশায় মৎসজীবী এবং মা সুধারানী গৃহিণী। গোবিন্দ পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা সত্বেও নিজের মেধাকে পুঁজি করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৪৯ তম হয়েছে গোবিন্দ। কিন্তু এই অদম্য মেধাবীর মেডিকেল ভর্তি খরচ দেয়া তার বাবার পক্ষে অসম্ভব। এমন সময়ে এই অদম্য মেধাবীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন।জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য, শুভকামনা এবং দোয়া পেয়ে আপ্লুত হয়ে গোবিন্দ জেলা প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।